চট্টগ্রাম বন্দর থেকে কন্টেইনারে করে মালয়েশিয়ার পেনাং বন্দরে পালিয়ে যাওয়া সেই বাংলাদেশির পরিচয় মিলেনি এখনো। ১৪ অক্টোবর পেনাং বন্দর থেকে বের করার সময় খালি কন্টেইনার থেকে গন্ধ বের হলে লাশের সন্ধান মিলে। এরপর পেনাং পুলিশ সেটি তদন্ত শুরু করলেও ১২ দিনে কোন পরিচয় দিতে পারেনি। ফলে একটি লাশের পরিচয় জানতে এতবেশি সময় লাগা নিয়ে রহস্যের সৃষ্টি হয়েছে। অনেকের প্রশ্ন সেটি ধামাচাপ দেয়া হয়েছে কি না।
দক্ষিণ কোরিয়াভিত্তিক সিনোকর শিপিং লাইনসের ‘এমভি সোয়াসদি আটলান্টিক’ জাহাজের স্থানীয় প্রতিনিধি গ্লোব লিংক অ্যাসোসিয়েটস।প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মঈনুল হক চৌধুরী বলেন, এখানে রহস্যের কিছুই নেই। লুকানোরও কিছু নেই। মালয়েশিয়া পুলিশ তদন্ত করছে প্রতিবেদন না পাওয়া পর্যন্ত পরিচয় জানার সুযোগ নেই। আমরা তাদের প্রতিবেদন পেতে নিয়মিত যোগাযোগ রাখছি।
যে কনটেইনার থেকে মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে, সেটি ৪০ ফুট লম্বা। কনটেইনারটি ট্র্যাকিং করে জানা যায়, ৪ অক্টোবর বিকেল ৪টা ৫৫ মিনিটে সীতাকুণ্ডের বিএম ডিপো থেকে খালি কনটেইনারটি বের হয়। এরপর বন্দরে নিয়ে নিউমুরিং টার্মিনালের চার নম্বর জেটিতে অপেক্ষমাণ ‘এমভি সোয়াসদি আটলান্টিক’ জাহাজে তুলে দেওয়া হয়। চট্টগ্রাম বন্দরের নিউমুরিং টার্মিনাল থেকে জাহাজটি ৬ অক্টোবর ভোরে মালয়েশিয়ার পেনাং বন্দরের উদ্দেশে রওনা হয়। সেখানে পৌঁছায় ৯ অক্টোবর।
শিপিং এজেন্ট সূত্রে জানা যায়, কনটেইনারটি বিএম কনটেইনার ডিপোতে নেওয়া হয় গত ২২ সেপ্টেম্বর। ১৩ দিনের মাথায় ৪ অক্টোবর ডিপো থেকে বন্দরের উদ্দেশে নেওয়া হয়। নিয়মানুযায়ী, ডিপো থেকে বের করার সময় এবং বন্দর ফটক দিয়ে ঢোকানোর সময় কনটেইনারের দরজা খুলে দেখার কথা। কিন্তু সেই ব্যক্তি কি ডিপো থেকে কন্টেইনারে ঢুকে বন্দরে গেলেন নাকি বন্দরের ভিতর ইয়ার্ড থেকেই কন্টেইনারে উঠে পালিয়ে গেলেন তা এখনো নিশ্চিত নয়।