৮ মিটার গভীরতার জাহাজ ভিড়ানোর রেকর্ড মোংলা বন্দরের

দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম সুমদ্রবন্দর মোংলা’ বন্দর জেটিতে ভিড়েছে ৮ মিটার গভীরতার বাণিজ্যিক জাহাজ।
বন্দরের ৫ নম্বর জেটিতে পানামা পতাকাবাহী ‘এমসিসি টোকিও’ নামের জাহাজটি ভেড়ানো হয়। জাহজটিতে ৩৭৭ একক পণ্যভর্তি কন্টেইনার রয়েছে।
পশুর নদীর নাব্যতা কম থাকায় সাত বা সাড়ে সাত মিটারের অধিক গভীরতার জাহাজ মোংলা বন্দর জেটিতে ভিড়তে পারতো না। ফলে এই আকারের বড় অর্থ্যাৎ আট, সাড়ে আট কিংবা ৯ মিটারের গভীরতার পণ্যবাহী জাহাজ প্রথমে পশুর নদীর মাঝে নোঙ্গর করা হত, সেখান থেকে পণ্য খালাস করা হতো। এখন আট মিটার গভীরতার জাহাজ ভিড়িয়ে নতুন রেকর্ড গড়লো মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষ।
মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের সদস্য (হারবার ও মেরিন) কমডোর মোহাম্মদ আব্দুল ওয়াদুদ তরফদার বলেন, কন্টেইনার নিয়ে প্রথমবারের মত ৮ মিটার ড্রাফটের জাহাজ বন্দর জেটিতে ভিড়েছে। এটা সম্ভব হয়েছে বড় আকারের খননের ফলে। ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে এই জাহাজের মালামাল খালাস করা হবে। খালাস শেষে এখান থেকে আবারও পণ্য বোঝাই করে জাহাজটি গন্তব্যে ফিরে যাবে।
এটি একটি ট্রায়াল কার্যক্রম ছিল বলে জানান তিনি। এ কার্যক্রম সফল হলে নিয়মিত মোংলা বন্দরের স্থায়ী জেটিতে ৮ মিটারের বেশি গভীরতার জাহাজ প্রবেশ করতে পারবে বলেও জানান তিনি।
জাহাজটির স্থানীয় শিপিং এজেন্ট ওশান ট্রেড লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ জাহিদ হোসেন জানান, গত ২৫ আগস্ট চীনের সাংহাই বন্দর থেকে কনটেইনার বোঝাই করে জাহাজটি ছেড়ে আসে। এরপর তাইওয়ান ও মালয়েশিয়া হয়ে সোমবার দুপুরে মোংলা বন্দর জেটিতে ভেড়ে। ১৮৬ মিটার লম্বা এ জাহাজটির গভীরতা ৮ মিটার। এটি বন্দরের ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি গভীরতা সম্পন্ন জাহাজ। জাহাজটিতে সাত হাজার ২৪১ মেট্রিক টন ওজনের বিভিন্ন পণ্যবোঝাই ২৮৯টি কনটেইনার এসেছে।
বন্দর ব্যবহারকারীরা বলেন, ‘পদ্মা সেতুর সুফলে মোংলা বন্দরের কর্মচাঞ্চল্য বেড়েছে। জেটি এলাকায় ড্রেজিংয়ের ফলে এ বন্দরের গতিশীলতা বৃদ্ধি পেয়েছে। এ ধারাবাহিকতা বজায় থাকলে বন্দরে জাহাজের আগমনও বাড়বে। ব্যবসায়ীরাও লাভবান হবে।’