২০২৪ সালের মধ্যে ৮০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার রপ্তানির লক্ষমাত্রা ঠিক করেছে সরকার। সর্বশেষ অর্থবছরে ৪৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে; নতুন লক্ষমাত্রা অর্জন করতে হলে ৫৮ শতাংশ বাড়তি রপ্তানি করতে হবে বাংলাদেশকে। কিন্তু সেই প্রস্তুতি চট্টগ্রাম বন্দরের হবে কিনা তা নিয়ে যথেষ্ট সংশয় রয়েছে। কারণ ৪৫ বিলিয়ন পণ্য রপ্তানি করতে চট্টগ্রাম বন্দরকে এবার বড়সড় ধকল সইতে হয়েছে। বিভিন্ন কৌশল রপ্ত করে পরিস্থিতি সামাল দিতে পেরেছে দেশের প্রধান এই সমুদ্রবন্দর। কিন্তু আগামীতে সেটি সম্ভব হবে না নিশ্চিত বলছেন বন্দর ব্যবহারকারীরা।
জানতে চাইলে চট্টগ্রাম বন্দর ব্যবহারকারীরা বলছেন, ২০২২ সালে চট্টগ্রাম বন্দরে যোগ হবে নতুন পতেঙ্গা কন্টেইনার টার্মিনাল; সেখানে সর্বোচ্চ ৪ লাখ একক কন্টেইনার উঠানামা সম্ভব হবে। তাও এই বছরে যদি আধুনিক ‘কী গ্যান্ট্রি ক্রেন’ যুক্ত করে পণ্য উঠানামা করা সম্ভব হয়। সেটি ছাড়া নতুন কোন টার্মিনাল-জেটি চট্টগ্রাম বন্দরে আগামী ২০২৪ সালের মধ্যে যুক্ত হওয়ার সম্ভাবনা নেই।
বন্দর ব্যবহারকারীরা বলছেন, বে টার্মিনাল হচ্ছে লক্ষমাত্রা পুরণের সবচে ভালো সমাধান কিন্তু সেই টার্মিনাল কেবল আশ্বাসেই সীমাবদ্ধ। দুই তিনবছর পরপর চট্টগ্রাম বন্দরে নতুন একজন চেয়ারম্যান যোগ দেন; তারা নতুন করে বে টার্মিনাল চালুর সময় সীমা দেন। তিনি চলে গেলে আরেকজন এসে আবার সময় বাড়িয়ে নির্ধারন করেন। এরফলে শুধু আশ্বাসেই সীমাবদ্ধ থেকেছে এই টার্মিনাল নির্মান কাজ।
আক্ষেপ করে সী কম গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আমিরুল হক বলেন, দেশের এগিয়ে যায়ার সাথে বন্দরের সক্ষমতা বাড়ানোর একমাত্র সহজ সমাধান ছিল বে টার্মিনাল কিন্তু রহস্যজনক কারণে সেটি বারবার পিছিয়ে যাচ্ছে। এতে করে বাণিজ্য লক্ষমাত্রা পুরণ অনেক কঠিন হবে।
তিনি বলেন, বন্দর সক্ষমতা থাকলেই আমরা বিশ্ববাজারে প্রতিযোগিতায় এগিয়ে থাকব; এখন সঠিক সময়ে সেটি নিশ্চিত না করলে আমাদের ভোগান্তিতে পড়তে হবে কোন সন্দেহ নেই।
বন্দর ব্যবহারকারীরা বলছেন, বে টার্মিনাল হচ্ছে লক্ষমাত্রা পুরণের সবচে ভালো সমাধান কিন্তু সেই টার্মিনাল কেবল আশ্বাসেই সীমাবদ্ধ। দুই তিনবছর পরপর চট্টগ্রাম বন্দরে নতুন একজন চেয়ারম্যান যোগ দেন; তারা নতুন করে বে টার্মিনাল চালুর সময় সীমা দেন। তিনি চলে গেলে আরেকজন এসে আবার সময় বাড়িয়ে নির্ধারন করেন। এরফলে শুধু আশ্বাসেই সীমাবদ্ধ থেকেছে এই টার্মিনাল নির্মান কাজ।
আক্ষেপ করে সী কম গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আমিরুল হক বলেন, দেশের এগিয়ে যায়ার সাথে বন্দরের সক্ষমতা বাড়ানোর একমাত্র সহজ সমাধান ছিল বে টার্মিনাল কিন্তু রহস্যজনক কারণে সেটি বারবার পিছিয়ে যাচ্ছে। এতে করে বাণিজ্য লক্ষমাত্রা পুরণ অনেক কঠিন হবে।
তিনি বলেন, বন্দর সক্ষমতা থাকলেই আমরা বিশ্ববাজারে প্রতিযোগিতায় এগিয়ে থাকব; এখন সঠিক সময়ে সেটি নিশ্চিত না করলে আমাদের ভোগান্তিতে পড়তে হবে কোন সন্দেহ নেই।
জানা গেছে, চট্টগ্রাম বন্দর ২০২১ সালে ৩২ লাখ ১৪ হাজার একক কন্টেইনার উঠানামা করেছে বিদ্যমান সক্ষমতা দিয়ে।এবার ১৩ শতাংশ প্রবৃদ্ধি করেছে এই বন্দর। কিন্তু ২০২২ সালে ১৩ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয় তাহলে চট্টগ্রাম বন্দরের অবস্থা টালমাটাল হবে। এথেকে পরিত্রানের উপায় হচ্ছে বে টার্মিনাল নির্মান।
চট্টগ্রাম বন্দর সচিব ওমর ফারুক বলছেন, পতেঙ্গা কন্টেইনার টার্মিনাল এই বছর চালু হলে সক্ষমতা আরো বাড়বে; ফলে চাপ অনেকটাই আমরা সামাল দিতে পারব। পাশাপাশি বে টার্মিনাল নির্মান দ্রুত করতে আমরা পদক্ষেপ নিয়েছি। মন্ত্রনালয় অনুমোদন দিলে দ্রুত কাজ শুরু হবে।