বাংলা নিউজ

৬৯ রাশিয়ান জাহাজকে বাংলাদেশের বন্দরে ভিড়তে নিষেধাজ্ঞা

রাশিয়া পতাকাবাহি ৬৯টি বড় জাহাজকে বাংলাদেশের সমুদ্রবন্দরে ভিড়তে না দেয়ার নির্দেশনা দিয়েছে সরকার। এই জাহাজগুলো মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা আওতায় রয়েছে। এমন অভিযোগের প্রেক্ষিতে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় গত ৪ জানুয়ারি একটি নির্দেশনা কার্যকরের জন্য নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়ে পাঠায়। নৌ মন্ত্রনালয় থেকে ৫ জানুয়ারি সেই নির্দেশনা দেশের সব সমুদ্রবন্দরে কার্যকরের জন্য নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। এর আগে একসাথে এত জাহাজ নিষিদ্ধ করার ঘটনা দেশে ছিল না।

সম্প্রতি রাশিয়ার পতাকাবাহি একটি পণ্যবাহি জাহাজ রাশিয়া থেকে বাংলাদেশে নির্মানাধীন রূপপুর পারমানবিক প্রকল্পের পণ্য নিয়ে বঙ্গোপসাগরে পৌঁছে। বিষয়টি জানার পর মার্কিন দুতাবাস সরকারকে অবহিত করলে সরকার জাহাজটিকে বন্দরে ভিড়তে দেয়নি। এরপর ‘উরসা মেজর’ জাহাজটি পণ্য না নামিয়েই বাংলাদেশ ত্যাগ করে এবং কলকাতার হালদিয়া বন্দরে গিয়ে ভিড়ে। সেই ঘটনার পর হৈ চৈ হলে বিষয়টি এড়াতে বাংলাদেশ সরকার এই নির্দেশনা দিল।

নিষেধাজ্ঞানুযায়ী রাশিয়ার সাতটি কোম্পানির ৬৯টি জাহাজ রয়েছে।এরমধ্যে তেল পরিবহনকারী অয়েল ট্যাংকার, সাধারণ পণ্যবাহী কার্গো ভ্যাসেল, গাড়ি পরিবহনকারী রো রো ভ্যাসেল, ড্রেজার, টাগসহ গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন ক্যাটাগরির জাহাজ রয়েছে। এসব জাহাজকে শুধু বন্দরে প্রবেশের ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞাই নয়, একই সাথে জ্বালানি তেল সরবরাহ (বাংকারিং), রিফুয়েলিং, সাময়িক নিবন্ধন থেকে শুরু করে সব ধরণের পরিষেবা প্রদান থেকে বিরত থাকতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়ের পত্রটি চট্টগ্রামসহ দেশের সমুদ্রবন্দরগুলোতে পাঠানো হয়েছে।
একইসাথে অন্যান্য সামুদ্রিক পরিষেবা ইত্যাদি নিষেধাজ্ঞার আওতায় এনে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণসহ পতাকা নিবন্ধনকারী সংস্থা কর্তৃক জাহাজগুলোর জন্য স্থায়ী ও অস্থায়ী যেকোনো ধরণের রেজিস্ট্রেশন প্রদান না করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ জানানো হয়। বন্দরের পাশাপাশি জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান, সমুদ্র পরিবহন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, কোস্টগার্ডের মহাপরিচালক, বাংলাদেশ শিপিং কর্পোরেশনের এমডিসহ বিভিন্ন দফতরে নির্দেশনা পাঠানো হয়েছে।
কোম্পানিগুলোর মধ্যে অবরোনলজিস্টিকা ট্রিপল জিরোর মালিকানাধীন জাহাজের সংখ্যা ৩টি, এসসি সাউথ এলএলসি জাহাজের সংখ্যা ৪টি, জয়েন্ট স্টক কোম্পানি নর্দান শিপিং কোম্পানির মালিকানাধীন জাহাজের সংখ্যা ২৭টি, ট্রান্সমরফ্লট এলএলসির মালিকানাধীন জাহাজের সংখ্যা ১৬টি, এম লিজিং এলএলসির মালিকানাধীন জাহাজের সংখ্যা ৩টি, মেরিন ট্রান্স শিপিং এলএলসির মালিকানাধীন জাহাজের সংখ্যা ১টি এবং নর্ড প্রজেক্ট এলএলসি ট্রান্সপোর্ট কোম্পানির মালিকানাধীন জাহাজের সংখ্যা ১৫টি মিলে সর্বমোট ৬৯টি মাদার ভ্যাসেল রয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button