৩৬ ঘন্টা পর সচল চট্টগ্রাম বন্দর

ট্রাক, কাভার্ডভ্যান, লরি মালিক-শ্রমিকদের ধর্মঘট প্রত্যাহার করায় বিকাল ৫টা থেকে সচল হয়েছে দেশের প্রধান চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর। এর আগে ধর্মঘটকারীদের সাথে প্রথমে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রনালয় বৈঠকে বসে। সেখানে ট্রাক, কাভার্ড ভ্যান শ্রমিকরা ধর্মঘট প্রত্যাহার করে। পরে আরেকটি গ্রুপ বৈঠক করে নৌ পরিবহন মন্ত্রনালয়ে। বৈঠক শেষে তারাও প্রাইম মুভারস, লরি ধর্মঘট প্রত্যাহারের ঘোষণা দেয়। পৌণে ৫টার দিকে এই সিদ্ধান্ত জানার পর বিকাল ৫টা থেকেই সব ধরনের পণ্যবাহি গাড়ি বন্দরে ঢুকতে শুরু করে।
জানতে চাইলে চট্টগ্রাম বন্দরের টার্মিনাল অপারেটর সাইফ পায়ারটেক লিমিটেডের চীফ অপারেটিং অফিসার ক্যাপ্টেন তানভীর হোসাইন বলেন, বিকাল ৫টা থেকে জাহাজ থেকে কন্টেইনার উঠানামা শুরু হয়। আর কিছুক্ষন আগেই লরি, প্রাইমমুভারস বন্দর জেটিতে আসে।
তিনি বলেন, দিনে স্বাভাবিক সময়ে গড়ে সাড়ে ৪ হাজার একক কন্টেইনার উঠানামা হয় চট্টগ্রাম বন্দরের এনসিটি, সিসিটিতে। ধর্মঘটের কারণে ৩৬ ঘন্টা পণ্য উঠানামা বন্ধ ছিল। এখন পুরোদমে চালু হয়েছে। আশা করছি আগের চেয়ে বেশি কন্টেইনার উঠানামা হবে।
জানা গেছে, ১৫ দফা দাবি আদায়ে গত ২১ সেপ্টেম্বর ভোর ৬টা থেকে পণ্যবাহী যানবাহনের মালিক-শ্রমিকদের ডাকা ৭২ ঘণ্টার ধর্মঘট শুরু হয়। তিনদিন অর্থাৎ শুক্রবার (২৪ সেপ্টেম্বর) ভোর ৬টা পর্যন্ত তাদের এ ধর্মঘট চলার কথা ছিল। ধর্মঘটের কারণে ইতোমধ্যে বন্দরগুলোতে অচলাবস্থার সৃষ্টি হয়েছে।
বৈঠক শেষে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, ‘তারা (মালিক ও শ্রমিকরা) ১৫টি দাবি-দাওয়া আমাদের কাছে পাঠিয়ে ছিলেন। তারা একটা কর্মসূচিও (৭২ ঘণ্টার কর্মবিরতি) ডিক্লেয়ার করেছিলেন। সভায় আমরা তাদের দাবি-দাওয়া শুনেছি। তারা যথাযথভাবে আমাদের কাছে উত্থাপন করেছেন।’
তিনি বলেন, যে দাবিগুলো তাৎক্ষণিক বা এখনই করা উচিত বলে আমরা মনে করেছি, সেগুলোর ক্ষেত্রে বলেছি- আমরা ব্যবস্থা নিচ্ছি। যেগুলো মনে করেছি সময় লাগবে, আমাদের সচিব মহোদয়রা নোট নিয়েছেন এবং তাদের মন্ত্রণালয় থেকে সেগুলোর ব্যবস্থা নেবেন।’