২০ দিন ধরে চট্টগ্রাম বন্দরে আটকে আছে ট্রানজিট চালান

২০ দিন ধরে চট্টগ্রাম বন্দরে পড়ে আছে ট্রানজিটের ফিরতি চালান। ৮ টনের চা পাতার চালানটি ভারতের মেঘালয় থেকে সড়কপথে সিলেট পাড়ি দিয়ে আবারো সড়কপথে চট্টগ্রাম বন্দরে পৌঁছেছে গত ১৫ সেপ্টেম্বর। চট্টগ্রাম বন্দর থেকে কলকাতাগামি জাহাজ আসতে দেরি হয়ায় সেই চালান এখনো চট্টগ্রাম বন্দরে পড়ে আছে।
ট্রান্সসামুদেরা জাহাজটি চট্টগ্রাম বন্দরে পৌঁছেছে গত ৩ অক্টোবর; আর চট্টগ্রাম থেকে কলকাতা শ্যামাপ্রাসাদ মুখার্জি সমুদ্রবন্দরে রওনা দিবে আগামী সপ্তাহে। ততদিন পর্যন্ত চালানটি চট্টগ্রাম বন্দরেই পড়ে থাকবে।
জানতে চাইলে ট্রান্সসামুদেরা জাহাজের শিপিং এজেন্ট ম্যাঙ্গো লাইনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ইয়াকুব সুজন ভূঁইয়া বলেন, জাহাজটির ইঞ্জিন মেরামত করতে হচ্ছে বিধায় চট্টগ্রাম ছাড়তে বিলম্ব হবে। মেরামত শেষে আশা করছি ৯/১০ অক্টোবর জাহাজটি চট্টগ্রাম বন্দরের জেটিতে আসবে। এরপর ট্রানজিট সহ অন্য পণ্য বোঝাই করে জাহাজটি চট্টগ্রাম বন্দর থেকে কলকাতার উদ্দেশ্যে যাত্রা করবে।
তিনি বলেন, চট্টগ্রাম-কলকাতা রুটে আর কোন জাহাজ এই মুহুর্তে না থাকায় ট্রান্সসামুদেরা জাহাজের ওপর নির্ভর করেই থাকতে হচ্ছে ট্রানজিট চালানটিকে।
উল্লেখ্য, ট্রান্সসামুদেরা জাহাজটি চট্টগ্রাম বন্দর থেকে পণ্য বোঝাই করে গত ১৯ সেপ্টেম্বর কলকাতা বন্দরে পৌঁছেছে। ২৭ সেপ্টেম্বর পণ্য নিয়ে পুণরায় জাহাজটি চট্টগ্রাম বন্দরের উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করে আর ৪ অক্টোবর বন্দরের বহির্নোঙরে পৌঁছে। কিন্তু জাহাজটি চট্টগ্রাম বন্দরে পৌঁছেই কারিগরি ত্রুটি ধরা পড়ে। কিন্তু পরদিনই চট্টগ্রাম বন্দর থেকে ট্রানজিট পণ্য নিয়ে কলকাতার উদ্দেশ্যে যাত্রার শিডিউল ছিল কিন্তু মেরামতের কারণে জাহাজটির যাত্র বিলম্বিত হয়।। এই চালান পৌঁছলে ট্রানজিট পণ্যের পরীক্ষামূলক আসা-যাওয়ার চালান শেষ হবে।
এখনো পশ্চিমবঙ্গের কলকাতা থেকে কোনো পণ্য উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় সাত রাজ্যে (সেভেন সিস্টার) পাঠাতে গেলে সড়কপথে দীর্ঘ এবং জটিল পথ পাড়ি দিতে হয়। এতে কলকাতা থেকে আসাম বা ত্রিপুরা থেকে কলকাতায় পণ্য পরিবহন করতে গেলে প্রচুর সময় ও অর্থ ব্যয় হচ্ছিল। এই সমস্যা থেকে উত্তরণ ঘটিয়ে দ্রুত-নির্বিঘ্নে পণ্য পরিবহন নিশ্চিত করতেই বাংলাদেশের সমুদ্রবন্দর ব্যবহার করে ট্রানজিট পণ্য পরিবহনে উদ্যোগ নেওয়া হয়।