হালদিয়া বন্দরে ভিড়লো মার্কিন নিষেধাজ্ঞায় থাকা রাশিয়ান জাহাজ ‘উরসা মেজর’

বাংলাদেশের রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের জন্য রাশিয়া থেকে আসা পণ্যবাহি একটি জাহাজকে পশ্চিমবঙ্গের হালদিয়া বন্দরে নোঙরের অনুমতি দিয়েছে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার। জাহাজটির বর্তমান নাম ‘উরসা মেজর’ আগের নাম ছিল ‘স্পার্টা ৩’।
ইউক্রেন যুদ্ধ ঘিরে রাশিয়ার পতাকাবাহি ‘স্পার্টা ৩’ জাহাজের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা থাকায় সেটি কৌশলে নাম পাল্টে বাংলাদেশে পাঠানো হয়। জাহাজটি বাংলাদেশের মোংলা বন্দরে ভিড়ার কথা ছিল ২০২২ সালের ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহে। বাংলাদেশে ভিড়ছে এমনটি জানার পর ঢাকার মার্কিন দূতাবাস আপত্তি জানালে বিপত্তি দেখা দেয়। বাংলাদেশ সেই জাহাজ ভিড়তে অপারগতা জানায়। এরপর থেকে জাহাজটির রূট পরিবর্তন করে নেয়া হয় পশ্চিমবঙ্গের হালদিয়া বন্দরে। হালদিয়ায় নোঙর করার পর রাশিয়ার ওই জাহাজ থেকে পণ্য খালাস করে সেগুলো সড়কপথে বাংলাদেশের রূপপুরে নেয়া হতে পারে।
জাহাজটির বাংলাদেশে শিপিং এজেন্ট হিসেবে কাজ করছে ইন্টারপোর্ট শিপিং। তাদেরকে ফোন দেয়া হলে সাড়া মিলেনি।
উল্লেখ্য, মার্কিন নিষেধাজ্ঞা থাকায় বাংলাদেশে জাহাজটি ভিড়তে পারেনি। কিন্তু ঠিকই জাহাজটি ভিড়েছে পশ্চিমবঙ্গে। মুলত মার্কিন সেই নিষেধাজ্ঞা ভারত মানে না। ফলে এর আগে তারা রাশিয়ান জাহাজ তাদের বন্দরে ভিড়িয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা থাকা সত্ত্বেও রাশিয়ার পতাকাবাহী জাহাজ ভারতের সব বন্দরে নোঙরের জন্য উন্মুক্ত। গত ২০২২ সালের পুরো সময়জুড়ে রাশিয়ার কাছ থেকে বিভিন্ন ধরনের পণ্যসামগ্রী ও অন্যান্য চালান গ্রহণ করেছে ভারত। একই সময়ে রাশিয়ার সাথে ভারতের দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য বেড়েছে ৩০০ শতাংশের বেশি।
আর রূপপুর পারমানবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মানে বাংলাদেশ-রাশিয়া অংশীদারিত্ব চুক্তির আওতায় তৃতীয় দেশে প্রকল্প নির্মাণকাজে সহায়তার অংশ হিসেবে বাংলাদেশকে ভারত সহায়তা দিচ্ছে।
মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের সচিব কালাচাঁদ সিংহ বলেছেন, আমরা জানতে পেরেছি, জাহাজটি থেকে মালামাল ভারতের পশ্চিমবঙ্গের হলদিয়া বন্দরে খালাস করা হবে। পরে সেখান থেকে অন্য বাহনে করে সেসব মালামাল সড়কপথে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রে নেওয়া হবে।