সেই ‘অকশন শেডে’ কন্টেইনার ইয়ার্ড করবে বন্দর

চট্টগ্রাম বন্দরের সংরক্ষিত এলাকার ভিতর কাস্টমসের ‘অকশন শেড’ অবশেষে সরানো হয়েছে। ৫ একরজুড়ে মূল্যবান এই স্থান অবশেষে বুঝে পেয়েছে বন্দর কর্তৃপক্ষ। এই স্থানে বন্দর কর্তৃপক্ষ নতুন ইয়ার্ড নির্মান করবে।
মেয়াদোত্তীর্ণ এবং নিলামযোগ্য পণ্য আইনী জটিলতার কারণে এই অকশন ইয়ার্ডে বছরের পর বছর পড়ে থেকে নষ্ট হচ্ছিল। কিছু পণ্য নিয়মিত নিলামে তোলা গেলেও অনেক পণ্য অন্তত ২০ বছর ধরে পড়েছিল। এসব পণ্য বন্দরের ভিতর পণ্য উঠানামা এবং পরিচালন কাজে ব্যবহৃত সবচে মূল্যবান জমি দখল করে থাকায় বন্দরের কার্যক্রমে বিঘ্ন ঘটছিল। আর কাস্টমস বঞ্চিত হচ্ছিল রাজস্ব আয় থেকে। কাস্টমস কমিশনার থাকাকালে ফখরুল আলম নিলাম শেড থেকে সব পণ্য স্থানান্তরের চ্যালেঞ্জিং কাজটি করেন। এরপর ধাপে ধাপে তা বাস্তবায়ন শেষে বুঝে স্থানটি খালি হলে বুঝে পায় বন্দর কর্তৃপক্ষ।
অকশন পণ্য বন্দর সংরক্ষিত এলাকার বাইরে সরিয়ে নিতে বন্দর স্টেডিয়ামের সামনে ২০১৭ সালে বিশাল অকশন শেড তৈরী করে দেয় বন্দর কর্তৃপক্ষ। কিন্তু পুরাতন অকশন শেডে থাকা সব পণ্য নিলামে বিক্রি এবং নষ্ট পণ্য ধ্বংসকাজ শেষ করতে না পারায় অকশন ইয়ার্ড বুঝে পায়নি বন্দর কর্তৃপক্ষ। সবশেষে পণ্যগুলো সরানােরা পর স্থানটি বুঝে যায় বন্দর কর্তৃপক্ষ।
চট্টগ্রাম বন্দর বলছে, ৫ একর স্থানের সব জরাজীর্ণ অবকাঠামো ভেঙে ফেলা হচ্ছে। এই পরিমাণ জায়গা কনটেইনার রাখার কাজে ব্যবহার করা গেল বছরে কমপক্ষে সাড়ে তিন লক্ষ কনটেইনার পরিচালন সম্ভব হবে।
বন্দর সচিব মোহাম্মদ ওমর ফারুক বলেন, কাস্টমস কর্তৃপক্ষের চিঠি পেয়ে আমরা স্থানটি বুঝে নিয়েছি। এই ৫ একর জায়গায় বন্দরের নতুন ইয়ার্ড নির্মাণের পরিকল্পনা আছে। ওই জায়গায় কনটেইনার রাখা গেলে বন্দরের সক্ষমতা আরো বৃদ্ধি পাবে।