Portsবাংলা নিউজ

সূবর্ণজয়ন্তীতে চট্টগ্রাম বন্দরের ব্যতিক্রমী উদ্যোগ; ফুল-ফলের শুভেচ্ছায় উচ্ছ্বসিত বিদেশি জাহাজের ক্যাপ্টেনরা

বিশেষ প্রতিনিধি

বাংলাদেশের স্বাধীনতার সূবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে চট্টগ্রাম বন্দর জেটিতে ভিড়া সব জাহাজকেই ফুলেল শুভেচ্ছা জানিয়েছে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ। একইসাথে ফলের ঝুঁড়ি দিয়ে স্বাগত জানানো হয়েছে। অনেক দেশে উপহার দেয়ার রেওয়াজ থাকলেও চট্টগ্রাম বন্দরে সম্ভবত এই প্রথম বলছেন শুভেচ্ছা স্মারক পাওয়া জাহাজের ক্যাপ্টেন, শিপিং অফিসিয়ালরা।

জানতে চাইলে জিবিক্স লজিস্টিকসের অ্যাসিসটেন্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট মুনতাসির রুবাইয়াত বলছেন, পানামার পতাকাবাহী এসওএল স্ট্রেইটস জাহাজের ক্যাপ্টেন নিকোলাস দ্যা সুজা বিকালে হােয়াটস অ্যাপ করে ফুলেল শুভেচ্ছা এবং ফলের ঝুঁড়ির ছবি দিয়েছেন। একইসাথে উচ্ছ্বসিতভাবে তার প্রতিক্রিয়ায় ক্যাপ্টেন বলেছেন এমন ঘটনা দেখে আমি অবাক। সত্যিই মনটাই ভালো হয়ে গেলো।

মুনতাসির রুবাইয়াত বলছেন, ২০ বছরের শিপিং ক্যারিয়ারে আমি এই ধরনের ঘটনা প্রথম দেখলাম। এটা খুব বড় কিছু নয় কিন্তু উদ্যোগটা ব্যতিক্রমী। কারণ সব জাহাজই বিদেশি এবং তাদের নাবিকরা প্রায়ই বিদেশি; ফলে সুনামটা বিশ্বে সুভাস ছড়াবে।

বিশ্বের শীর্ষ শিপিং কম্পানি মায়ের্কস লাইনের এক কর্মকর্তা বলছেন, উদ্যোগ ছোট মনে হলে এর প্রভাব বিশাল। একজন ক্যাপ্টেন যখন খুশি হয়ে আমাকে বলে তখন বুকটা গর্বে ভরে যায়। স্বাধীনতার সূবর্ণজয়ন্তীর উদ্যোগ এমনই হওয়া উচিত।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, চট্টগ্রাম বন্দর জেটি এবং বিশেষায়িত জেটিসহ মোট ২৫টির বেশি জাহাজ জেটিতে ছিল। সব জাহাজেই বন্দরের পক্ষ থেকে এই শুভেচ্ছা পাঠানো হয়েছে। বন্দর জেটিতে মাত্র ৩টি দেশি জাহাজ আছে; বাকি সব জাহাজই বিদেশি।

শুভেচ্ছা পাওয়ার পর শিপিং অফিসিয়ালদের একটি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে সবাই এই উদ্যোগের উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করেছেন। তাদের অনেকেই সেখানে মন্তব্য করেছেন, আমরাই বাইরের বন্দরে বিভিন্ন উপলক্ষে এমন উদ্যোগ দেখি; তখন আফসোস করি কিন্তু চট্টগ্রাম বন্দরেই যে এমন ঘটনা ঘটবে বিশ্বাসই করতে পারছিলাম না। মনে হচ্ছে স্বাধীনতার ৫০ বছরে আমরা জাতি হিসেবে আরো একধাপ উঁচুতে উঠলাম।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button