চট্টগ্রাম-ইতালি রুটে পণ্য পরিবহন শুরু হবে ‘সুঙ্গা চিতা’ কন্টেইনার জাহাজ দিয়েই। আগামী ১ ফেব্রুয়ারি এই জাহাজ ১১শ ৫০ একক রপ্তানি কন্টেইনার নিয়ে চট্টগ্রাম বন্দর থেকে রওনা দিবে; ১৬ দিন পর পৌঁছবে ইতালির সিভিটাভিসিয়া বন্দরে। এরমধ্য দিয়ে চট্টগ্রাম বন্দর থেকে প্রথমবার সরাসরি ইউরোপে রপ্তানি পণ্য পৌঁছানোর সুযোগ তৈরী হবে।
এর আগে গত ২৪ ডিসেম্বর ২০২১ সালে ‘ক্যাপ ফ্লোরেস’ নামের একটি জাহাজ খালি কন্টেইনার নিয়ে চট্টগ্রাম বন্দর জেটিতে ভিড়েছিল কিন্তু ফিরতি পথে কোন রপ্তানি কন্টেইনার নিয়ে যায়নি।
জাহাজটির স্থানীয় প্রতিনিধি রিলায়েন্স শিপিং অ্যান্ড লজিস্টিকস লিমিটেডের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ রাশেদ বলেন, খালি কন্টেইনার নিয়ে ‘সুঙ্গা চিতা’ জাহাজটি চট্টগ্রাম বন্দরে ভিড়বে ১ ফেব্রুয়ারি;২ ফেব্রুয়ারি ১১শ ৫০ একক রপ্তানি কন্টেইনার নিয়ে ইতালির উদ্দেশ্যে রওনা দিবে। মাত্র ১৬ দিনে ইতালিতে পৌঁছবে; এরফলে ট্রান্সশিপমেন্ট বন্দরগুলোর ওপর নির্ভরতা কমবে; বিদেশি বড় জাহাজ বা বড় শিপিং কম্পানির ওপর নির্ভরশীলতা কমে আসবে।
তিনি বলেন, ইতালির তিন পোশাক ক্রেতা বাংলাদেশ থেকে পণ্য সরবরাহ নিতে গিয়ে কন্টেইনার বা শিপিং কম্পানির উচ্চমাশুলের কারণে বিপাকে পড়েন। তখন তারা নিজেরাই উদ্যোগি হয়ে এই সার্ভিস ট্রায়ালভিত্তিতে চালুর উদ্যোগ নেন। সফল হলে তারা তো পরিবহন করবেনই; অন্য বিদেশি ক্রেতারা এগিয়ে আসবেন।
জানা গেছে, বাংলাদেশ থেকে একটি রপ্তানি কন্টেইনার সরাসরি ইউরোপ-আমেরিকার যায়ার সুযোগ নেই। একটি রপ্তানি কন্টেইনার চট্টগ্রাম বন্দর থেকে ছোট আকারের জাহাজে বোঝাই করে প্রথমে ট্রান্সশিপমেন্ট বন্দর-সিঙ্গাপুর, কলম্বো, পোর্ট কেলাঙ, তানজুম পেলিপাস বন্দরে যায়; সেখান থেকে বড় আকারের জাহাজ বা মাদার ভ্যাসেলে ইউরোপ-আমেরিকা যায়। কিন্তু নতুন এই সার্ভিসের মাধ্যমে সরাসরি ইউরোপ যাওয়ার সুযোগ তৈরী হলো। অনেকের ধারনা এই রুটে বড় আকারের জাহাজ ছাড়া কন্টেইনার পরিবহন সম্ভব নয় কিন্তু ধারনাটি সম্পূর্ণ ভুল বলছেন মোহাম্মদ রাশেদ।
তিনি বলেন, জাহাজটি সাগর-মহাসাগর পাড়ি দেয়ার সক্ষমতা, অনুমোদন আছে কিনা সেটাই হচ্ছে বড় বিষয়। আমাদের দেশি-বিদেশি সব দপ্তরের অনুমোদন আছে।
উল্লেখ্য, ‘সুঙ্গা চিতা’ জাহাজটির ধারনক্ষমতা মাত্র ১২শ একক কন্টেইনার। ২০০৮ সালে তৈরী জাহাজটির ড্রাফট ৭ দশমিক ৮ মিটার; দৈর্ঘ্য ১৪৭ মিটার। এরচেয়ে বড় আকারের কন্টেইনার জাহাজ চট্টগ্রাম বন্দর জেটিতে ভিড়ে।