রিলায়েন্সের খালি কন্টেইনারটি নেমসান ডিপো থেকেই বন্দরে এসেছিল

চট্টগ্রাম বন্দর থেকে রিলায়েন্স শিপিং কম্পানির খালি কন্টেইনারে করেই পালিয়ে মালয়েশিয়া বন্দরে পৌঁছেছিল ওই কিশোর। আর খালি কন্টেইনারটি বেসরকারী নেমসান কন্টেইনার ডিপো থেকেই চট্টগ্রাম বন্দরে পৌঁছেছিল। আর ওরিয়েন্ট ওভারসীজ কন্টেইনার লাইন (ওওসিএল) শিপিং কম্পানির জাহাজ ‘ইন্টিগ্রা’তে করেই খালি কন্টেইনারটি মালয়েশিয়ার পেনাং সমুদ্রবন্দরে পৌঁছে ১৬ জানুয়ারি। এরপর জাহাজ থেকে নামিয়ে কন্টেইনার খুলে ১৭ জানুয়ারি ওই কিশোরকে উদ্ধার করে সেখানকার হাসপাতালে পাঠানো হয়।
জানতে চাইলে রিলায়েন্স শিপিং কম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ রাশেদ বলেন, ‘ইন্টিগ্রা’ জাহাজে আমরা ১০৫টি খালি কন্টেইনার জাহাজীকরণ করেছিলাম। প্রায় সব কন্টেইনার এসেছে নেমসান কন্টেইনার ডিপো থেকে। একটি খালি কন্টেইনার বন্দরে প্রবেশের আগে দুই দরজা খোলা থাকে, যাতে বন্দরের নিরাপত্তাকর্মীরা কন্টেইনারে কিছু আছে কিনা নিশ্চিত হতে পারেন। এক্ষেত্রে সেটি হয়েছে কিনা তা তদন্তের পরই জানা যাবে।
তিনি বলেন, আল্লাহর অসীম রহমতে চারদিন ধরে খালি কন্টেইনারের ভিতর থাকলে সে জীবিত ছিল। ফলে তার কাছ থেকে স্বীকারোক্তি নিয়ে তদন্ত করলেই নিরাপত্তায় ঘাটতি কোথায় সেটি বেরিয়ে আসবে।
উল্লেখ্য, গত ১২ জানুয়ারি চট্টগ্রাম বন্দর থেকে ইন্টিগ্রা জাহাজটি কন্টেইনার নিয়ে মালয়েশিয়ার কেলাং বন্দরের বহির্নোঙরে পৌঁছে ১৬ জানুয়ারি। ১৫ বছর বয়সী ওই কিশোর চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে খালি কন্টেইনারের ভিতর লুকিয়ে কেলাং বন্দরে পৌঁছায়। কন্টেইনারের ভিতর চীৎকার শুনে এগিয়ে গেলে জাহাজের ক্যাপ্টেনের নজরে আসে বিষয়টি। এরপর ১৭ জানুয়ারি জরুরি ভিত্তিতে জাহাজটি কেলাং বন্দরে ভিড়িয়ে কন্টেইনার থেকে কিশোরকে মুমুর্ষ অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। পরে তাকে হাসপাতালে পাঠিয়ে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।
এর আগে গত ২০২২ সালের ৮ অক্টোবরে চট্টগ্রাম বন্দর থেকে একইভাবে খালি কন্টেইনারে গিয়ে মালয়েশিয়ার আরেক বন্দর পেনাংয়ে এক যুবকের লাশ পাওয়া গিয়েছিল। তার চার মাস না পেরোতেই এই ঘটনা ঘটলো। এই অবস্থায় চট্টগ্রাম বন্দরের নিরাপত্তা নিয়ে আবারো প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।