রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর এই প্রথম ইউক্রেন থেকে গম নিয়ে চট্টগ্রাম বন্দরে আসছে ‘ম্যাগনাম ফরচুন’। জাহাজটি ইউক্রেনের চারেনামরস্ক বন্দর থেকে ২৭ সেপ্টেম্বর রনা দিয়েছে ২১ অক্টোবর সুয়েজ চ্যানেল পাড়ি দিবে। এখন জাহাজটি এজিয়ান সাগর পাড়ি দিচ্ছে। আশা করা হচ্ছে অক্টোবরের শেষ সপ্তাহে জাহাজটি চট্টগ্রাম বন্দরে পৌঁছবে।জাহাজটি চট্টগ্রাম বন্দরে পৌঁছলে ইউক্রেন থেকে ৯ মাস পর প্রথম জাহাজ ভিড়বে।
জানতে চাইলে জাহাজের বাংলাদেশের এজেন্ট সেভেন সীসের এক কর্মকর্তা বলেন, যুদ্ধ শুরুর পর ইউক্রেন থেকে প্রথম কোন জাহাজ চট্টগ্রাম পৌঁছবে। জাহাজে ৫২ হাজার টন গম রয়েছে। সবগুলোই বাংলাদেশ-ইউক্রেন সরকার জিটুজি ভিত্তিতে কেনা।সেপ্টেম্বরে এই গম কেনার চুক্তি হয়েছে। এখন জাহাজটি গম নিয়ে আসছে।
সারা বিশ্বে গমের বড় সরবরাহকারী দেশ রাশিয়া ও ইউক্রেন। ইউরোপ অঞ্চলের প্রায় ৪০ শতাংশ গম যায় রাশিয়া ও ইউক্রেন থেকে। আর মধ্য এশিয়া ও দক্ষিণ ককেশাসে প্রায় ৭৫ শতাংশ বা তার বেশি গম আমদানি হয় রাশিয়া ও ইউক্রেন থেকে। এমনকি বাংলাদেশের গমের একটি বড় অংশও আসত রাশিয়া-ইউক্রেন থেকে। যুদ্ধের কারণে বিশ্বজুড়ে এই গম রপ্তানি বাণিজ্যে ব্যাপক প্রভাব পড়েছে।
২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর গত ১২ আগস্ট প্রথমবারের মতো ইউক্রেন থেকে জাহাজে গম রপ্তানি শুরু হয়।যুদ্ধ শুরুর পর থেকে কৃষ্ণ সাগরের সব বন্দর থেকে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ ছিল। জাতিসংঘের মধ্যস্থতায় রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে চুক্তি সই হয়। এরপর থেকেই খাদ্যপণ্য রপ্তানি শুরু হয়। বিশ্বের এক তৃতীয়াংশ গমের চাহিদা পূরণ হয় দেশ দুইটি থেকে।
চুক্তির আওতায় গত ১ আগস্ট ইউক্রেনের ওডেসা বন্দর ছাড়ে শস্যবাহী প্রথম জাহাজ। রাশিয়ার হামলার পর সাগর পথে এত দিন ইউক্রেনের শস্য রপ্তানি বন্ধ ছিল।