বিশেষ প্রতিনিধি
মাতারবাড়ীতে দেশের প্রথম গভীর সমুদ্রবন্দরে জাহাজ প্রবেশের জন্য নির্মিত চ্যানেল দিয়ে প্রথম জাহাজ প্রবেশ করছে আগামী ২৯ ডিসেম্বর। ‘ভেনাস ট্রায়াম্প’ জাহাজটিতে রয়েছে মাতারবাড়ী ১৩২০ মেগাওয়াট কয়লাভিত্তিক বিদ্যুত কেন্দ্রের জন্য অবকাঠামো নির্মান সামগ্রী। বঙ্গোপসাগর থেকে জাহাজটি প্রবেশ করে ভিড়বে বিদ্যুত কেন্দ্রের জন্য নির্মিত হেভি লিফট বা ভারী কার্গো নামানাের জেটিতে।
উল্লেখ্য, চ্যানেলের একপাশে নির্মিত হয়েছে তিনটি জেটি; যেগুলো ব্যবহৃত হবে বিদ্যুত কেন্দ্রের নির্মান সামগ্রী উঠানামার কাজে। আর অপরপাশেই গড়ে উঠবে মাতারবাড়ী গভীর সমুদ্রবন্দর। এই সমুদ্রবন্দর চালু হবে ২০২৫ সালে। কিন্তু তার আগেই ব্যবহার শুরু হচ্ছে সমুদ্রবন্দরের জন্য নির্মিত চ্যানেল বা জাহাজ প্রবেশের পথ।
জানতে চাইলে চট্টগ্রাম বন্দর সদস্য (হারবার ও মেরিন) কমডোর মোস্তাফিজুর রহমান শিপিং এক্সপ্রেসকে বলছেন, জেটিতে জাহাজ ভিড়ানোর জন্য আমরা পুরোপুরি প্রস্তত; প্রবেশপথে বয় বসানো থেকে শুরু করে সব কাজই শেষ। এখন ২৯ ডিসেম্বর একটি পণ্যবাহি জাহাজ ভিড়বে। পর্যায়ক্রমে আরো জাহাজ আসবে। তবে কী পরিমান জাহাজ জেটিতে আসবে তার চাহিদা এখনো আমরা পাইনি।
এদিকে মাতারবাড়ীতে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুত কেন্দ্রের জন্য নির্মিত জেটিতে জাহাজ ভিড়ানোর সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ। যেহেতু মাতারবাড়ী পর্যন্ত চট্টগ্রাম বন্দর জলসীমা বিস্তৃত; তাই সেখানে জাহাজ ভিড়লে ‘পোর্ট অব কল’ ধরা হবে চট্টগ্রাম বন্দরকেই। অর্থ্যাৎ যাবতীয় মাসুল চট্টগ্রাম বন্দরই পাবে; জাহাজের পাইলটিং করবে চট্টগ্রাম বন্দরই। জেটিতে জাহাজ ভিড়ানো সমন্বয় করতে গত ২৩ ডিসেম্বর বন্দর ভবনে একটি সভা করেছে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ। সেখানে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুত কেন্দ্রের জন্য আসা জাহাজ কিভাবে পরিচালিত হবে; তার একটি গাইডলাইন দেয়া হয়েছে। বেশ কিছু সিদ্ধান্ত নিয়েছে বন্দর কর্তৃপক্ষ।
বন্দর কর্তৃপক্ষ বলছে, ২৯ ডিসেম্বরের পর ৫ জানুয়ারি আরেকটি জাহাজের শিডিউল পাওয়া গেছে।
কক্সবাজারের মাতারবাড়ীতে দেশের প্রথম গভীর সমুদ্রবন্দর নির্মানের আগে প্রস্তুত হয়েছে আড়াইশ মিটার প্রস্থ, ১৮ মিটার গভীরতা এবং ১৪ কিলোমিটার দীর্ঘ চ্যানেল। এই চ্যানেল বা প্রবেশথ দিয়েই বঙ্গোপসাগর থেকে জাহাজ বন্দর জেটিতে প্রবেশ করবে। গভীর সাগর থেকে জাহাজগুলো চ্যানেল দিয়ে জেটিতে প্রবেশের জন্য বসানো হয়েছে পথ নির্দেশক ছয়টি বয়। চট্টগ্রাম বন্দরের মেরিন বিভাগ সাগরে এসব বয় স্থাপন ইতোমধ্যে সফলভাবে সম্পন্ন করেছে। অর্থ্যাৎ নতুন নির্মিত চ্যানেল দিয়ে জাহাজ প্রবেশ পুরোপুরি প্রস্তুত।