বে টার্মিনাল নির্মানে কোরিয়ান দুই কনসালটেন্ট; খরচ ১২৬ কোটি টাকা

চট্টগ্রামে বহুল প্রত্যাশিত ‘বে টার্মিনাল নির্মাণ’ প্রকল্পে আন্তর্জাতিক পরামর্শক প্রতিষ্ঠান হিসেবে কোরিয়ার দুই কোম্পানিকে নিয়োগ দিয়েছে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি। এতে ব্যয় হবে ১২৬ কোটি ৪৯ লাখ ৭৩ হাজার ৯৮৬ টাকা।
গতকাল ৭ এপ্রিল বিকেলে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের সভাপতিত্বে ভার্চুয়ালি অনুষ্ঠিত সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটিতে এ সংক্রান্ত প্রস্তাবের অনুমোদন দেওয়া হয়।
সভা শেষে অনুমোদিত প্রস্তাবগুলোর বিস্তারিত তুলে ধরে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মো. জহিরুল ইসলাম সাংবাদিকদের জানান, নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের অধীন চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ কর্তৃক চট্টগ্রামে ‘বে-টার্মিনাল নির্মাণ’ পিপিপি প্রকল্পের আওতায় আন্তর্জাতিক পরামর্শক প্রতিষ্ঠান হিসেবে যৌথভাবে কাজটি পেয়েছে কোরিয়ার কুনওয়া ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড কনসালটিং কোম্পানি লিমিটেড এবং ডিয়েনইয়াং ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি লিমিটেড। এতে মোট ব্যয় হবে ১২৬ কোটি ৪৯ লাখ ৭৩ হাজার ৯৮৬ টাকা।
এদিকে মেগা প্রকল্প বে-টার্মিনালের জন্য প্রস্তাবিত ৮০৩ একর ভূমি গত ছয় মাসেও বুঝে পায়নি চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ। বন্দরের পক্ষ থেকে দফায় দফায় চিঠি দেওয়ার পরও সরকারি এই খাসজমি বুঝিয়ে দিতে পারেনি জেলা প্রশাসন। ফলে গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্পটির কাজ নির্ধারিত সময়ে শুরু ও শেষ হতে পারবে কি না, তা নিয়ে অনিশ্চয়তা থেকেই গেছে।
বে-টার্মিনাল নির্মাণ শুরুর দিনক্ষণ এখন নির্ধারণ হয়নি। এখনো ভূমি অধিগ্রহণ, কনসালটেন্ট ও অপারেটর নিয়োগ, প্রকল্পের ডিজাইনসহ অনেক কাজই বাকি। শুরুতে নিজেদের অর্থায়নে প্রকল্পটি বাস্তবায়নের চিন্তা করা হলেও পরবর্তী সময়ে তা থেকে সরে আসে বন্দর কর্তৃপক্ষ। পাবলিক-প্রাইভেট পার্টনারশিপের (পিপি) ভিত্তিতে বে-টার্মিনাল নির্মাণের সিদ্ধান্ত হয়। এরই মধ্যে এই টার্মিনালে বিনিয়োগে আগ্রহ প্রকাশ করেছে বিদেশি একাধিক প্রতিষ্ঠান।
প্রকল্প পরিচালক ও বন্দর কর্তৃপক্ষের নির্বাহী প্রকৌশলী রাফিউল আলম বলেন, প্রকল্পের জন্য প্রস্তাবিত ৮৭১ একর ভূমির মধ্যে ব্যক্তি মালিকানাধীন ৬৮ একর জমি বন্দর কর্তৃপক্ষ কিনে নিয়েছে। এই জমিতে যথারীতি ট্রাক টার্মিনাল নির্মাণসহ বিভিন্ন কর্মযজ্ঞ চলছে। বাকি ছিল ৮০৩ একর সরকারি খাসজমি। এই জমি বুঝিয়ে দেওয়ার দায়িত্ব জেলা প্রশাসনের। যেহেতু সরকারি জমি, তাই এটা কিনে নিতে হচ্ছে না। নামমাত্র মূল্যেই পাওয়া যাবে। ভূমি মিললে এবং কনসালটেন্ট নিয়োগের প্রস্তাব অনুমোদিত হলে প্রকল্পের কাজ শুরু হয়ে যাবে।