বিএম ডিপোর ৪শ রপ্তানি কন্টেইনার না পেয়েই চট্টগ্রাম বন্দর ছাড়লো ৭ জাহাজ

বিএম কন্টেইনার ডিপোর ৪শ একক রপ্তানি পণ্যভর্তি কন্টেইনার না পেয়েই চট্টগ্রাম বন্দর জেটি ছেড়েছে অন্তত সাত দেশি-বিদেশি জাহাজ। বাংলাদেশি রপ্তানিকারকদের তৈরি এসব পণ্যভর্তি কন্টেইনার চট্টগ্রাম বন্দর থেকে ট্রান্সশিপমেন্ট বন্দর-সিঙ্গাপুর, কলম্বো, পোর্ট কেলাঙ, তানজুম পেলিপাস বন্দর হয়ে ইউরোপ-আমেরিকা-আফ্রিকায় যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু ৫ জুন রাতের মধ্যেই এসব রপ্তানি পণ্য বেসরকারী বিএম ডিপো থেকে চট্টগ্রাম বন্দরে নিয়ে জাহাজীকরণেরর কথা ছিল কিন্তু তার আগেই দুর্ঘটনা ঘটলো ডিপোতে। এতে করে ৫ জুন থেকে আর কোন রপ্তানি পণ্য ডিপো থেকে বন্দর যেতে পারেনি। এজন্য এসব পণ্যের বুকিং থাকা সত্বে পণ্য না পেয়েই বন্দর ছেড়েছে জাহাজ।
জাহাজগুলো হলো মায়ের্কস সোংকলা, সিনার সরং, কেপ কোয়েস্ট, এক্সপ্রেস নিলাওয়ালা, এইচ আর সারেরা, ইন্টিগ্রা ও ওয়াইএম হক। সবগুলো জাহাজই ৭ জুন বন্দর জেটি ছেড়েছে।
জানতে চাইলে এক্সপ্রেস নিলাওয়ালা জাহাজটির শিপিং এজেন্ট সি কনসোর্টিয়ামের সিনিয়র জেনারেল ম্যানেজার মাইকেল রদ্রিগ্রেজ কালের কণ্ঠকে বলেন, জাহাজটি গত ৩ জুন জেটিতে ভিড়ে। আর ৬ জুন এক হাজার ৪০০ একক রপ্তানি কনটেইনার নিয়ে চট্টগ্রাম বন্দর ছেড়ে যায়। এই সময়ের মধ্যে না আসায় বাধ্য হয়েই বিএম ডিপোর ২৭ একক রপ্তানি পণ্যের কনটেইনার না নিয়েই জাহাজটি বন্দর ছেড়ে যায়।
মায়ের্কস সোংকলা জাহাজের বুকিং ছিল ৫৪ একক, সিনার সরং জাহাজে ৯২ একক, কেপ কোয়েস্ট জাহাজে ৮৮ একক, এইচ আর সারেরা জাহাজে ৫৮ একক, ইন্ট্রিগ্রা জাহাজে ৬৭ একক, এইচ এম হকে ৬ একক রপ্তানি কন্টেইনার বুকিং ছিল। বুকিং থাকলে বন্দর জেটিতে থাকা জাহাজ একেবারে শেষমুহুর্ত পর্যন্ত অপেক্ষা করে কন্টেইনারের জন্য। কিন্তু যেহেতু বিএম কন্টেইনার ডিপোতে বিস্ফােরন হয়েছে সেটি জেনেই জাহাজগুলো নির্দিষ্ট সময়েই বন্দর জেটি ছেড়ে গেছে।