কার্যক্রম সম্পাদনে একটি ‘পেপারলেস চট্টগ্রাম বন্দর’ করতে চায় কর্তৃপক্ষ।আগামীকাল ২৫ এপ্রিল চট্টগ্রাম বন্দরের ১৩৫ বর্ষপূর্তি উদযাপনের প্রাক্কালে আজ রবিবার এমন আগ্রহের কথা জানিয়েছেন চট্টগ্রাম বন্দর চেয়ারম্যান রিয়ার এডমিরাল এম শাহজাহান।
তিনি বলেন, চট্টগ্রাম বন্দরের পণ্যছাড়ের সবগুলো কার্যক্রম এখন অনলাইনে সম্পাদন করা যাচ্ছে। অনলাইনে পণ্য চালানের মাশুল পরিশোধের সুযোগ আছে। কন্টেইনার টার্মিনাল ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম (সিটিএমএস)কে আপগ্রেডেশনের মাধ্যমে টার্মিনাল অপারেটিং সিস্টেমে (টস) রূপান্তর করা হয়েছে। টায়ার-২ সমমানের একটি ডাটা সেন্টার স্থাপন করা হয়েছে। এই ডাটা সেন্টারের মাধ্যমে চট্টগ্রাম বন্দর বিশ্বের উন্নত বন্দরগুলোর মতো নিরবচ্ছিন্ন অপারেশনাল অটোমেশন সেবা নিশ্চিত করতে পারবে। এই টসের আওতায় ইতোমধ্যে ইলেকট্রনিক ডেলিভারি সিস্টেম চালু করা হয়েছে। টসের আওতায় অনলাইন কার্ট টিকেট, ডেলিভারি চালান, অনলাইন পেমেন্ট সেবা চালু হয়েছে। যার সুফল ভোগ করছেন বন্দর ব্যবহারকারীরা।
তিনি বলেন, আমরা অটোমেশন সিস্টেমে পুরোপুরি প্রস্তুত। বন্দর ব্যবহারকারীরা সহযোগিতা করলে একটি শতভাগ পেপারলেস বন্দর হিসেবে প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব। নতুন বছরে আমরা এমন প্রত্যাশা করছি।
আজ রবিবার শহীদ মো. ফজলুর রহমান মুন্সী অডিটোরিয়ামে বন্দরের ১৩৫ বর্ষপূর্তি উপলক্ষে সংবাদ সম্মেলনে ‘প্রচার মাধ্যম প্রতিনিধিদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।
বন্দর চেয়ারম্যান বলেন, চট্টগ্রাম বন্দরের জলসীমা ৭ নটিক্যাল মাইল থেকে ৫০ নটিক্যাল মাইলে উন্নীত হয়েছে। সীতাকুন্ড থেকে এখন কুতুবদিয়া পর্যন্ত বিস্তুত হয়েছে এই জলসীমা। সাতগুন জলসীমা বৃদ্ধি পেলেও সম্পূর্ণ এলাকা ডিজিটাল টাইডাল নেটওয়ার্কের আওতায় এসেছে। ভ্যাসেল ট্রাফিক ম্যানেজমেন্ট ইনফরমেশন সিস্টেম (ভিটিএমআইএস) এর মাধ্যমে চট্টগ্রাম বন্দর ভবনের টায়ার থেকে রিয়েল টাইম টাইড ইনফরমেশন দেয়া হচ্ছে আগত মাদার ভ্যাসেলগুলোকে। এতে করে জলসীমায় পৌঁছা জাহাজগুলো এই তথ্য নিয়ে নিরাপদে গভির সমুদ্র থেকে বহির্নোঙরে কিংবা জেটিতে আসতে পারছে। এতে মেরিটাইম সেক্টরে চট্টগ্রাম বন্দরের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল হয়েছে।
তিনি বলেন, বন্দরের সক্ষমতা বাড়াতে বন্দরের বহরে যোগ হয়েছে কাণ্ডারি ৬ , কান্ডারি ১২ নামের ২টি টাগবোট। যোগ হয়েছে ২টি মুরিং লঞ্চ, ২টি সাইট স্ক্যান সোনার, ২টি ইকো সাউন্ডার,১টি সমুদ্রগামী হারবার টাগবোট সংগ্রহ করা হয়েছে।