পণ্য পরিবহন ধর্মঘট: দুটি কন্টেইনার জাহাজ বন্দর ছাড়তে পারেনি

৩৬ ঘন্টা ধর্মঘটের কারণে আজ বুধবার দুটি কন্টেইনার জাহাজ চট্টগ্রাম বন্দর ছেড়ে যেতে পারেনি। জাহাজ দুটি হচ্ছে বাংলাদেশি পতাকাবাহি জাহাজ ’সারেরা’; আরেকটি বিদেশি জাহাজ ‘এএস সিসিলিয়া’। দুটি জাহাজের মধ্যে একটিতে আমদানি পণ্য নামানো যায়নি; আরেকটিতে রপ্তানি পণ্য জাহাজীকরণ করা যায়নি। গত ২১ সেপ্টেম্বর সকাল থেকে ধর্মঘট শুরু হওয়ায় কোন রপ্তানি পণ্যভর্তি গাড়ি বেসরকারী কন্টেইনার ডিপো থেকে বন্দর জেটিতে পৌঁছতে পারেনি। ফলে জাহাজদুটিকে বাধ্য হয়েই একদিন বেশি থাকতে হয়েছে চট্টগ্রাম বন্দর জেটিতে। আজ বৃহষ্পতিবার জাহাজ দুটি বন্দর ছেড়ে যাবে।
চট্টগ্রাম বন্দর টার্মিনাল অপারেটর সাইফ পাওয়ারটেকের চীফ অপারেটিং অফিসার ক্যাপ্টেন তানভীর হোসাইন বলছেন, ’সারেরা’ জাহাজ থেকে ১২৩৬ একক আমদানি কন্টেইনার নামানো সম্ভব হয়নি। আর ‘এএস সিসিলিয়া’ জাহাজে ৯২৯ একক কন্টেইনার রপ্তানি পণ্য জাহাজীকরন সম্ভব হয়নি। ধর্মঘটের কারণে ট্রাক-লরি না থাকায় জাহাজ থেকে পণ্য উঠানামা বন্ধ থাকায় এই সমস্যা হয়েছিল।
৩৬ ঘন্টা পর ধর্মঘট প্রত্যাহার চট্টগ্রাম বন্দর কিছুটা হলে হাঁফ ছেড়ে বেঁচেছে। কারণ আগস্ট থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত চট্টগ্রাম বন্দরে how to give a prostate massage to her husband with crossfit ৪৮ শতাংশ জাহাজই দিনে দিনেই বহির্নোঙর থেকে বন্দর জেটিতে ভিড়তে পেরেছে। অর্থ্যাৎ ৪৮ শতাংশ জাহাজ কোন অপেক্ষা ছাড়াই জেটিতে ভিড়েছে। কিন্তু ৩৬ ঘন্টার ধর্মঘটে হোঁচট খেলো চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ।
জানতে চাইলে চট্টগ্রাম বন্দর পরিচালক (পরিবহন) এনামুল করিম বলছেন, ধর্মঘটের কারণে অন এরাইভাল জাহাজ জেটিতে ভিড়ার যে অগ্রগতি সেখানে কিছুটা হলেও নেতিবাচক প্রভাব পড়বে। সেই ধারাবাহিকতা ফিরিয়ে আনতে এক সপ্তাহ সময় লাগবে।
তিনি বলছেন, আজ দুটি জাহাজের বন্দর ছেড়ে যাওয়ার শিডিউল পিছিয়েছে। বাড়তি এফোর্ট দিয়ে আমরা সেই জাহাজসহ বাকি জাহাজগুলো দ্রুত বন্দর ছেড়ে দিতে পদক্ষেপ নিচ্ছি। যাতে রপ্তানিকারকরা বিপাকে না পড়েন। বহির্নোঙরে এখন ৬টি কন্টেইনার জাহাজ আছে; যেগুলোর অপেক্ষমান সময় মাত্র দুদিন।