নিরাপদ জাহাজ নোঙরে ৪৮টি নতুন বয়া বসছে

বিশেষ প্রতিনিধি,
নিরাপদ জাহাজ নোঙরের সুবিধা নিশ্চিত করতে ৪৮টি নতুন বয়া বসাচ্ছে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ। চট্টগ্রাম বন্দরের শাহ আমানত সেতু থেকে কালুরঘাট পর্যন্ত দুটি ব্লকে ভাগ করে এসব বয়া বসানো হবে। ১৬টি বয়া বসানো শুরু হয়েছে; বাকিগুলো পর্যায়ক্রমে বসানো হবে।
জানতে চাইলে চট্টগ্রাম বন্দর ডেপুটি কনজারভেটর ক্যাপ্টেন ফরিদুল আলম বলেন, কর্ণফুলী নদীতে স্থাপনার কারণে কিছু বয়া অপসারন করতে হয়েছে। ৮টি বয়া তুলে ফেলার পর তার বিপরিতে আমরা ৪৮ বয়া স্থাপন শুরু করেছি। এর মাধ্যমে অন্তত ১শ জাহাজ বাড়তি নোঙরের সুবিধা নিশ্চিত করা হচ্ছে। তিনি বলেন, জাহাজ চলাচলের প্রবেশপথ নির্বিঘ্ন রাখতে ছোট জাহাজগুলো ইচ্ছেমতো-এলােপাতাড়ি নোঙর বন্ধ করতে আমরা বদ্ধ পরিকর। আমরা চাইছি কর্ণফুলী সেতুর উজান থেকে কালুরঘাট পর্যন্ত লাইটার জাহাজগুলো নিরাপদে নোঙর করে রাখুক। এতে ঘুর্ণিঝড়ের মতো প্রাকৃতিক বিপর্যয় থেকে জাহাজগুলোকে নিরাপদে রাখা সম্ভব হবে। একইসাথে বিদেশি জাহাজের সাথে এসব জাহাজের দুর্ঘটনা রোধ করা যাবে।
জানা গেছে, চট্টগ্রাম বন্দরে প্রবেশপথ বা চ্যানেল থেকে শাহ আমানত সেতুর উজান পর্যন্ত ছোট বা লাইটার জাহাজগুলো কর্ণফুলী নদীতে নোঙর করা থাকে। সম্প্রতি নৌ বাণিজ্য দপ্তর, চট্টগ্রাম বন্দর, জাহাজ মালিকদের সংগঠন যৌথভাবে সিদ্ধান্ত নেয় গুপ্তবাঁক থেকে চ্যানেল পর্যন্ত কোন জাহাজ নোঙর করতে পারবে না। মুলত জাহাজ চলাচলের পথ নির্বিঘ্ন রাখতেই এই উদ্যোগ। এরইমধ্যে কর্ণফুলী নদীতে বঙ্গবন্ধু টাণেল, কোস্ট গার্ডের নতুন স্থাপনা, নৌ বাহিনীর নতুন বেইজ স্টেশনের কারণে বেশ কটি বয়া কর্ণফুলী নদী থেকে তুলে ফেলতে হয়েছে। এতে করে নদীতে জাহাজ রাখার স্থান কমেছে। এই পরিস্থিতি উত্তরণে শাহ আমানত সেতু থেকে কর্ণফুলী সেতু হয়ে কালুরঘাট পর্যন্ত মোট ৪৮টি বয়া স্থাপনের উদ্যোগ নেয়া হয়। শাহ আমানত সেতুর উজান থেকে ইতোমধ্যে ১৬টি বয়া বসানো শুরু হয়েছে। এর মাধ্যমে অন্তত ১শ ছোট জাহাজ নিরাপদে নোঙর করা যাবে।