দেড় হাজার একক বিপদজনক পণ্য চট্টগ্রাম বন্দর থেকে দ্রুত ছাড় নিতে চিঠি দিয়েছে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ। মুলত বন্দরের পরিচালন কার্যক্রম স্বাভাবিক রাখা এবং বন্দরের সংরক্ষিত এলাকা বিপদমুক্ত রাখতেই এই তাগাদা দিয়েছে বন্দর।
চট্টগ্রাম চেম্বার, গার্মেন্ট মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ, সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট এসোসিয়েশন, শিপিং লাইনকে এই তাগাদা দিয়ে চিঠিতে বন্দর বলেছে, বিপদজনক সামগ্রী বহনকারী কনটেইনার ক্লিয়ারেন্সে ধীরগতি দেখা যাচ্ছে। বন্দরের তাগাদার পর কোন গতি আসেনি।
বন্দরের টার্মিনাল ম্যানেজার স্বাক্ষরিত ওই চিঠিতে আরও উল্লেখ করা হয়, বর্তমানে চট্টগ্রাম বন্দরে বিভিন্ন আমদানিকারকের ১ হাজার ৫৭১ টিইইউ (টুয়েন্টি ফুট ইকুয়েভিলেন্ট ইউনিট) বিপজ্জনক পণ্য পড়ে আছে। বন্দরের স্বাভাবিক অপারেশনাল কার্যক্রম বজায় রাখার স্বার্থে এ সকল বিপজ্জনক (ডিজি কার্গো) পণ্য দ্রুত ডেলিভারি নেওয়া আবশ্যক।
চিঠিতে বলা হয়, দুর্ঘটনা রোধে সঠিক তথ্য দিয়ে আইএমডিজি (ইন্টারন্যাশনাল মেরিটাইম ডেঞ্জারাস গুডস) কোড অনুযায়ী ডিজি কার্গোর প্যাকিং করতে হবে। বাংলাদেশ নেভি এবং সংশ্লিষ্ট সংস্থা সমূহের গাইড লাইন অনুসরণ করে ডিজি কার্গো দ্রুত ডেলিভারি নেওয়া চট্টগ্রাম বন্দরের স্থাপনার জন্য জরুরি।
চট্টগ্রাম কাস্টমস সিএন্ডএফ এজেন্টস অ্যাসোসিয়েশনের সেক্রেটারি কাজী মাহমুদ ইমাম বিলু বলেন, বন্দরে থাকা ডিজি কার্গোর মধ্যে রয়েছে ইন্ডাস্ট্রিয়াল কেমিক্যাল, জ্বালানিসহ বিভিন্ন পণ্য। বৈশ্বিক বাণিজ্য মন্দার কারণে শিল্প কারখানায় এখন উৎপাদন আগের তুলনায় কম। তাই আমদানিকারকরা পণ্য ডেলিভারিতে আগের তুলনায় বেশি সময় নিচ্ছে।
উল্লেখ্য, ২০২০ সালে লেবাননের বৈরুত বন্দরে দুর্ঘটনার পর চট্টগ্রাম বন্দরে ডিজি কার্গো সংরক্ষণ, পরিবহন এবং ডেলিভারি নেওয়ার বিষয়টি আলোচনায় আসে। চট্টগ্রাম বন্দরে একাধিক নির্দেশনা জারি করলেও ডেলিভারিতে তেমন পরিবর্তন দেখা যায়নি।
এরমধ্যে ২০২২ সালের জুনে বেসরকারি আইসিডি বিএম কনটেইনার ডিপোতে হাইড্রোজেন পার অক্সাইড থেকে বিস্ফোরণে ৫১ জনের প্রাণহানীর বিষয়ে আবারো আলোচনায় আসে ডিজি কার্গোর বিষয়টি। ওই ঘটনার পর বিভিন্ন শিপিং কোম্পানি ডিজি কার্গো পরিবহন বন্ধ করে দেয়। সিঙ্গাপুর বন্দর কর্তৃপক্ষও বাংলাদেশ থেকে ডিজি কার্গো সংরক্ষণ সাময়িক বন্ধ রাখে।