জ্বালানি তেল খালাসে ডলফিন জেটি সংকট

চট্টগ্রামে জ্বালানি তেল খালাসের ডলফিন জেটি নিয়ে সংকট তৈরী হয়েছে। জ্বালানি তেল খালাসের বিশেষায়িত তিনটি ডলফিন জেটির মধ্যে ৫ নম্বর জেটিটি জাহাজের ধাক্কায় অচল হওয়ার পর থেকেই বন্ধ রয়েছে। ৬ নম্বর জেটিটি রক্ষনাবেক্ষনের কারণে বন্ধ রাখা হয়েছে। বাকি থাকা ৭ নম্বর জেটিতেই কেবল অপরিশোধিত জ্বালানি খালাস করছে ইস্টার্ণ রিফাইনারি।
তিনটি জেটির মধ্যে মাত্র একটি চালু থাকায় সংকট সামাল দিতে পাশে থাকা একটি ডলফিন জেটি চট্টগ্রাম বন্দর থেকে ধার নিয়েছে বাংলাদেশ পেট্রােলিয়াম কর্পােরেশন। ধার নেয়া ৪ নম্বর জেটিটে দৈর্ঘ্যে ছোট হওয়ায় সেই জেটিতে জ্বালানি তেলবাহি জাহাজ ভিড়তে বিপাকে পড়েছে বিপিসি। এই অবস্থায় জ্বালানি তেল খালাসে সংকটে পড়েছে বিপিসি।
জানতে চাইলে চট্টগ্রাম বন্দর ডেপুটি কনজারভেটর ক্যাপ্টেন ফরিদুল আলম বলছেন, জ্বালানি তেল খালাস নির্বিঘ্ন করতে সংকটের সময় চট্টগ্রাম বন্দর এগিয়ে এসেছে। ডলফিন জেটি-৪ বিপিসিকে সাময়িকভাবে দেয়া হয়েছে। কিন্তু সেই জেটিতে জাহাজ ভিড়াতে গিয়ে আগে-পরে থাকা জাহাজগুলোতে ঝামেলা তৈরী হচ্ছে। কারণ জ্বালানি তেলের জাহাজগুলো তুলনামূলক বড় আকার-দৈর্ঘ্যের।
জানা গেছে, আমদানিকৃত জ্বালানি তেল খালাস নির্বিঘ্ন করতে রিভারমুরিং জেটিকে ডলফিন জেটিতে রূপান্তর করে বিপিসি। গত ২০০৫ সালে নিজস্ব অর্থায়নে দুইটি ডলফিন জেটি নির্মাণ করে বিপিসি। তন্মধ্যে ডলফিন জেটি-৫ ব্যবহার করে মেঘনা পেট্রোলিয়াম এবং ডলফিন জেটি-৬ ব্যবহার করে পদ্মা অয়েল কোম্পানি। আর ডলফিন জেটি-৭ অপরিশোধিত জ্বালানি তেল খালাস করে সরকারি ইস্টার্ন রিফাইনারি লিমিটেড।
বিপিসি’র এক কর্মকর্তা বলছেন, জ্বালানি তেলবাহি জাহাজগুলো ডলফিন জেটি-৪ এর তুলনায় একটু বড়। ফলে সেখানে তেল খালাসে জটিলতা তৈরি হচ্ছে। বন্দর সহযোগিতা করায় আমরা এখনো বড় ঝামেলায় পড়িনি।
তিনি বলেন, ডলফিন জেটি-৫, ডলফিন জেটি-৬ খুব দ্রুত চালুর সম্ভাবনা নেই। কারণে সেই দুটি জেটি মেরামতের জন্যই আমরা চট্টগ্রাম ড্রাইডক এবং খুলনা ড্রাইডক থেকে প্রস্তাব পেয়েছি। এখনো চুড়ান্ত হয়নি। ততদিন পর্যন্ত জ্বালানি তেল খালাসে আমাদের এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হবে।