বাংলা নিউজ

জাহাজের ধাক্কায় ২০ কোটি টাকার ক্ষতি


বিদেশি জাহাজের ধাক্কায় কর্ণফূলী নদীর ডলফিন জেটি-৫ ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকাল ৭টা ১৫ মিনিটের দিকে এমটি গ্র্যান্ড এইচ-৮ নামে একটি জ্বালানি  তেলবাহী জাহাজ জেটিতে নোঙ্গর করার সময় নিয়ন্ত্রণ হারালে এই দুর্ঘটনা ঘটে। বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনের (বিপিসি) প্রাথমিক তদন্তে ক্ষয়িক্ষতির পরিমাণ ২০ কোটি টাকা বলে জানিয়েছেন সংস্থার পরিচালক (অপারেশন) সৈয়দ মেহেদী হাসান ।

মেঘনা পেট্রোলিয়াম কর্মকর্তা জানান, ডলফিন জেটি-৫ এ মেঘনা পেট্রোলিয়াম লিমিটেডের জ্বালানি  তেল লোড-আনলোড হয়। বৃহস্পতিবার সকালে এমটি গ্র্যান্ড এইচ-৮ জাহাজটি জেটিতে নোঙ্গর করার সময় সজোরে ধাক্কা দেয়। এতে জেটির চারটি পিলার, জাহাজ নোঙ্গর করার ফেন্ডার, জেটির স্টীলের কাঠামো ভেঙ্গে যায়। এছাড়াও জেটিতে জ¦ালানি তেলের পাইপ লাইনের নেটওয়ার্ক ভেঙ্গে পড়েছে। জাহাজটি ইন্দোনেশিয়ার জ্বালানি  তেল সংস্থা ইউনিপ্যাকের পক্ষ হয়ে থাইল্যান্ড এবং মালয়েশিয়া থেকে ৩৫ হাজার মেট্রিক টন ডিজেল নিয়ে এসেছে। বিদেশি এই জাহাজের স্থানীয় শিপিং এজেন্ট হলো প্রাইড শিপিং লাইন।
এ প্রসঙ্গে বিপিসির পরিচালক (অপারেশন) সৈয়দ মেহেদী হাসান বলেন, মেঘনা পেট্রোলিয়ামের জেটিতে  দুর্ঘটনা ঘটেছে। খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শনে এসেছি। জেটির ক্ষয়ক্ষতি নিরুপনের জন্য বন্দর কর্তৃপক্ষের প্রতিনিধি, চট্টগ্রাম ড্রাইডক কর্তৃপক্ষের প্রতিনিধি এবং জাহাজটির স্থানীয় এজেন্ট প্রাইড শিপিংয়ের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. নজরুল ইসলামের উপস্থিতিতে প্রাথমিক তদন্ত শুরু করেছি।
জেটির ক্ষয়ক্ষতি নিয়ে তিনি আরো বলেন, চট্টগ্রাম ড্রাইডক কর্তৃপক্ষের প্রতিনিধি ধারণা দিয়েছেন জেটির ক্ষতিগ্রস্ত অংশ মেরামত করতে ১৫ থেকে ২০ কোটি টাকা খরচ হবে। পূর্ণ তদন্ত শেষে বিস্তারিত ক্ষতির পরিমাণ জানা যাবে।

এ বিষয়ে জানতে মেঘনা পেট্রোলিয়াম লিমিটেডের মহাব্যবস্থাপক (অপারেশন) শেখ আবদুল মোতালেবের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, এমটি গ্র্যান্ড এইচ-৮ জাহাজটি জেটিতে নোঙ্গর করার সময় দুর্ঘটনা ঘটে। আমরা জাহাজের ক্যাপ্টেনকে লিখিত অভিযোগ করেছি। জাহাজটি বন্দর ত্যাগের আগে তাদের স্থানীয় শিপিং এজেন্টের মাধ্যমে জেটির ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ সার্ভে নির্ধারণ এবং ক্ষতিপূরণ পরিশোধের দাবি জানিয়েছি।

দুর্ঘটনা সম্পর্কে জানতে এমটি গ্র্যান্ড এইচ-৮ জাহাজটির স্থানীয় শিপিং এজেন্ট প্রাইড শিপিং লাইনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. নজরুল ইসলামের মোবাইল ফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও তাঁরা ফোন রিসিভ করেননি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button