চার মাসেও কোন দস্যুতার রেকর্ড নেই বন্দর জলসীমায়

বিশেষ প্রতিনিধি
চারমাসে চট্টগ্রাম বন্দর জলসীমায় কোন দস্যুতার ঘটনা রেকর্ড হয়নি। ২০২১ সালের জানুয়ারি-এপ্রিল এই চার মাসে বাংলাদেশ জলসীমায় আসা দেশি-বিদেশি জাহাজে কোন দস্যুতার ঘটনা রেকর্ড করতে পারেনি দস্যুতা প্রতিরোধে গঠিত আর্ন্তজাতিক সংগঠন রিক্যাপ। গত সপ্তাহে তারা এই প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে।
প্রতিবেদনে, ২০২০ সালের জানুয়ারি-এপ্রিল প্রথম চারমাসে দুটি দস্যুতার ঘটনা রেকর্ড করেছিল রিক্যাপ। এবার একই সময়ে দস্যুতার ঘটনা শুন্য। ফলে এটি একটি বড় অর্জন। বন্দর ব্যবহারকারী বিশেষ করে জাহাজ পরিচালনকারীরা এই অর্জন ধরে রাখার তাগাদা দিয়েছেন।
রিক্যাপ প্রতিবেদনমতে, ২০২০ সালের জানুয়ারি-এপ্রিল চার মাসের তুলনায় ২০২১ সালের জানুয়ারি-এপ্রিলে ভারত, ইন্দোনেশিয়া, ফিলিপাইনস, দক্ষিন চীন সাগরে দস্যুতার ঘটনা কমেছে। এই সময়ে ভারতে দস্যুতা ঘটেছে একটি, ইন্দোনেশিয়ায় ৫টি, ফিলিপাইনসে ৩টি, দক্ষিন চীন সাগরে শুন্য, ভিয়েতনামে দস্যুতা বেড়ে গিয়ে ২টি, সিঙ্গাপুরে ১২টি ঘটনা ঘটেছে।
জানতে চাইলে চট্টগ্রাম বন্দর চেয়ারম্যান রিয়ার এডমিরাল এম. শাহজাহান শিপিং এক্সপ্রেসকে বলছেন, গত জানুয়ারিতে আমি চট্টগ্রাম বন্দরে যোগ দেয়ার পর বন্দরে পাইরেসি রিপোর্ট দেখে একটি সমন্বিত বৈঠক ডাকি। সেখানে কোস্টগার্ড যেহেতু মুল কাজটি করে তাই তাদের সাথে পৃথকভাবে বৈঠক করে পরিকল্পনা করি এবং বাস্তবায়নে জোর দিই। এরপর থেকেই মুলত সফলতা আসতে শুরু করে।
তিনি বলছেন, এখনকার রিপোর্ট দেখে আমরা থেমে যাব না। এই ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে আমরা ভ্যাসেল ট্রাফিক ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমস (ভিটিএমআইএস) এর মাধ্যমে তদারকি জোরদার করেছি। কক্সবাজারের কুতুবদিয়া জলসীমা পর্যন্ত এর পরিসর বাড়ানো হয়েছে। যেকােন পরিস্থিতিতে এই অর্জন ধরে রাখতে হবে।
বাণিজ্যিক জাহাজে সংঘটিত সশস্ত্র ডাকাতি, দস্যুতা ও চুরি প্রতিরোধে কর্মরত আন্তর্জাতিক সংগঠন রিক্যাপ প্রতিবেদন অনুযায়ী, চট্টগ্রাম বন্দরের জলসীমায় বিগত ১২ বছরের মধ্যে ২০১৯ সালেই কেবল দস্যুতার ঘটনা শূন্যে নেমেছে। এর আগে ২০১০ সালে সর্বোচ্চ ২১টি, ২০১১ সালে ১৪টি, ২০১২ সালে ১২টি, ২০১৫ সালে ১০টি, ২০১৬ সালে একটি, ২০১৭ সালে ১১টি এবং ২০১৮ সালে ৯টি দস্যুতা-চুরির ঘটনা ঘটে।