মেঘনা গ্রুপের বহরে যুক্ত হচ্ছে চারটি খোলা পণ্যবাহি জাহাজ। নতুন চারটি আল্ট্রাম্যাক্স ড্রাই বাল্ক ক্যারিয়ার (খোলা পণ্যবাহী) জাহাজ হচ্ছে, মেঘনা বিজয়, মেঘনা প্রেস্টিজ, মেঘনা হোপ এবং মেঘনা প্রগ্রেস। এনিয়ে মেঘনা গ্রুপের বহরে বাংলাদেশি পতাকাবাহি জাহাজের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২২টিতে।
এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি বাংলাদেশি পতাকাবাহি জাহাজ আছে চট্টগ্রামভিত্তিক কবির গ্রুপের ২৩টি। সে হিসেবে দ্বিতীয় স্থানে উঠে আসলো মেঘনা গ্রুপ।
নতুন চারটি জাহাজের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করবেন নৌ-পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী। জাহাজগুেলার একটি ভিড়ানো হবে চট্টগ্রাম বন্দরের নতুন নির্মিত পতেঙ্গা কন্টেইনার টার্মিনাল (পিসিটি)তে।
জানতে চাইলে মেঘনা গ্রুপের শিপিং বিভাগের প্রধান প্রকৌশলী মো. আবু তাহের বলেন, ২৬ ফেব্রুয়ারি ১৩.২ মিটার গভীরতা এবং ২০০ মিটার দৈর্ঘ্যের মেঘনা ভিক্টোরি নামের একটি বাল্ক জাহাজ পিসিটি টার্মিনালে ভিড়বে। কানাডার ভ্যাঙ্কুভার বন্দর থেকে ৬২ হাজার ৫০০ মেট্রিক টন গম নিয়ে এমভি মেঘনা ভিক্টোরি গত ১৬ ফেব্রুয়ারি চট্টগ্রাম বন্দরের বহির্নোঙ্গরে কুতুবদিয়া এলাকায় পৌঁছায়। এখন সেই জাহাজ থেকে কিছু পণ্য স্থানান্তর করে মেঘনা ভিক্টরিকে পতেঙ্গা টার্মিনালে আনা হবে। এখানে কোনো পণ্য আনলোড করা হবে না। উদ্বোধনের পর জাহাজটি আবার বহির্নোঙরে চলে গিয়ে সেখানেই পণ্য লাইটার বা স্থানান্তর করা হবে।
মেঘনা গ্রুপ বলছে, এ চারটি জাহাজ জাপান ও চীনের যৌথ উদ্যোগে পরিচালিত কোম্পানি জিয়াংসু ইয়াংজি-মিতসুই শিপবিল্ডিং কোম্পানি লিমিটেড তৈরি করেছে। জাহাজগুলোর জন্য ১০৫ মিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করেছে মেঘনা গ্রুপ।
এসব জাহাজে প্রায় শতাধিক বাংলাদেশি নাবিক কর্মরত আছেন। চারটি নতুন নৌযান যুক্ত হওয়ায় মেঘনা গ্রুপের বহরে জাহাজের সংখ্যা দাঁড়ালো ২২।
মেঘনা গ্রুপের বহরে সবচেয়ে দামি বাল্ক ক্যারিয়ারের মূল্য ৩৬ মিলিয়ন ডলার। ছোট এবং বড় জাহাজের প্রতিটির গড় মূল্য ২৫ মিলিয়ন ডলার। এই হিসাবে মেঘনা গ্রুপের ২২টি জাহাজে বর্তমান বিনিয়োগ ৫৫০ মিলিয়ন ডলার।
