চট্টগ্রাম বন্দর : লক্ষ্য মাত্রা ৩২ লক্ষ টি ই ইউস,

২০১৯ সালে চট্টগ্রাম বন্দরে ৩০ লাখ ৮৮ হাজার ১৮৭ একক কনটেইনার হ্যান্ডেলিং হয়েছিল। ২০২০ সালে বিশ্বব্যাপী করোনার কারণে কনটেইনার হ্যান্ডেলিং নিম্নমুখী হওয়ায় তা ২৫ লাখ ৮৭ হাজার ২৫১ একক কনটেইনারে নেমে এসেছিল। তবে এবার সেপ্টেম্বর মাস শেষে ২৩ লাখ ৮০ হাজার ৯০২ কনটেইনারে গিয়ে পৌছেছে। প্রতিমাসে গড়ে তিন লাখ কনটেইনার হ্যান্ডেলিং হলে আগামী তিন মাসে নয় লাখ কনটেইনার হ্যান্ডেলিং হতে পারে। সেই হিসেবে চলতি বছর শেষে চট্টগ্রাম বন্দরের কনটেইনার হ্যান্ডেলিং ৩২ লাখ অতিক্রম করতে পারে।
বিশ্বজুড়ে করোনার প্রভাব কমে আসার পর বাড়তে শুরু করেছে কনটেইনার হ্যান্ডেলিং। দেশের আমদানি রপ্তানির ৯৩ শতাংশ পণ্য হ্যান্ডেলিং হওয়া চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে বেড়েছে পণ্য পরিবহন। গত মাসে চট্টগ্রাম বন্দরে ১৩০টি কনটেইনার জাহাজ ভিড়েছে। এসব জাহাজে ২ লাখ ৪৬ হাজার ২৭৪ কনটেইনার হ্যান্ডেলিং হয়েছে। এসব কনটেইনারের মধ্যে আমদানিকৃত কনটেইনার ছিল ১ লাখ ১৯ হাজার ৫৩৬ টি এবং রপ্তানিমুখী কনটেইনার ছিল ১ লাখ ২৬ হাজার ৭৩৮টি।
অপরদিকে কার্গো হ্যান্ডেলিংয়ে ৭৮ লাখ ৭৬ হাজার ৬৮২ মেট্রিক টন পণ্য হ্যান্ডেলিং হয়েছে। এরমধ্যে আমদানিকৃত পণ্য ছিল ৭২ লাখ ১৩ হাজার ৯৭২ মেট্রিক টন এবং রপ্তানিমুখী পণ্য ছিল ৬ লাখ ৬২ হাজার ৭১০ মেট্রিকটন। সেপ্টেম্বর পর্যন্ত চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে ২৩ লাখ ৮০ হাজার ৯০২ একক কনটেইনার পণ্য হ্যান্ডেলিং হয়েছে।
আগামীতে চট্টগ্রাম বন্দরে কনটেইনার হ্যান্ডেলিং আরো বাড়বে জানিয়ে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের মুখপাত্র ও সচিব ওমর ফারুক বলেন, করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার পর থেকে চট্টগ্রাম বন্দরে পণ্য হ্যান্ডেলিং বাড়তে শুরু করেছে। আগামী তিন মাস শেষে এক বছরে ৩২ লাখ কনটেইনার হ্যান্ডেলিংয়ের মাইলফলক অতিক্রম করতে পারে চট্টগ্রাম বন্দর।
উল্লেখ্য, করোনার কারণে সারাবিশ্বের সব বন্দরগুলোর ন্যায় চট্টগ্রাম বন্দরেও নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে। আর এতে ২০২০ সালে ২৫ লাখ ৮৭ হাজার ২৫১ একক কনটেইনার হ্যান্ডেলিং হয়। এছাড়া ২০১৯ সালে ৩০ লাখ ৮৮ হাজার ১৮৭ একক কনটেইনার, ২০১৮ সালে ২৭ লাখ ৯৭ হাজার ৫২৯, ২০১৭ সালে ২৬ লাখ ৬৭ হাজার ২০২, ২০১৬ সালে তা সাড়ে ২৩ লাখ ৪৬ হাজার ৯০৯ ও ২০১৫ সালে ২০ লাখ একক কনটেইনার হ্যান্ডেল হয়েছে। মূলত: ২০০৯ সালের পর থেকে চট্টগ্রাম বন্দরের কনটেইনার হ্যান্ডেলিং বাড়তে শুরু করেছে।