Portsবাংলা নিউজ

চট্টগ্রাম বন্দর জলসীমা ১১ মাস দস্যুতামুক্ত 

চট্টগ্রাম বন্দর জলসীমায় আসা দেশি-বিদেশি পণ্যবাহি জাহাজে নভেম্বর মাসেও দস্যুতার কোন ঘটনা ঘটেনি। জাহাজে সংঘটিত সশস্ত্র ডাকাতি, দস্যুতা ও চুরি প্রতিরোধে কর্মরত আন্তর্জাতিক সংগঠন রিক্যাপ ২০২১ সালের জানুয়ারি-নভেম্বর পর্যন্ত প্রতিবেদনে এমন তথ্য প্রকাশ করেছে।

এরমধ্য দিয়ে জানুয়ারি-নভেম্বর পর্যন্ত ১১ মাসে দস্যুতার ঘটনা না হওয়াটা বন্দর ব্যবহারকারী-বন্দর কর্তৃপক্ষের জন্য স্বস্তির। এখন তাদের অপেক্ষা পুরো বছর যেন দস্যুতামুক্ত থাকে চট্টগ্রাম বন্দর জলসীমা।

জানতে চাইলে চট্টগ্রাম বন্দর চেয়ারম্যান রিয়ার এডমিরাল এম. শাহজাহান শিপিং এক্সপ্রেসকে বলছেন, নৌবাহিনী, কোস্টগার্ড এবং বন্দর কর্তৃপক্ষের সমন্বিত-কার্যকরী কৌশল প্রয়োগের সুফল হচ্ছে দস্যুতামুক্ত হওয়া। তবে এখানেই থেমে থাকলে, আত্নতৃপ্তিতে ভুগলে চলবে না। যেহেতু বন্দর জলসীমা এখন অনেক বেড়েছে; তাই বাড়তি সীমার নিরাপত্তা নিশ্চিতে নতুন পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে। সেগুলো বাস্তবায়ন হলে সুফল ধরে রাখতে পারবো।

রিক্যাপ প্রতিবেদনে, ২০২১ সালের ১১ মাসে মোট ৭২টি দস্যুতার ঘটনা ঘটেছে। এরমধ্যে চট্টগ্রাম বন্দর জলসীমায় কোন দস্যুতার ঘটনা ঘটেনি। একইসাথে সাউথ চায়না জলসীমায় কেনা দস্যুতার ঘটনা ঘটেনি। আর ভারতে ঘটেছে ৫টি, ইন্দোনেশিয়াতে ১১টি ঘটনা ঘটেছে, মালয়েশিয়াতে একটি ঘটনা ঘটেছে, ফিলিপাইনসে ১১টি দস্যুতা ঘটেছে। ভিয়েতনামে দুটি ঘটনা ঘটেছে।

রিক্যাপ প্রতিবেদন অনুযায়ী, চট্টগ্রাম বন্দরের জলসীমায় বিগত ১২ বছরের মধ্যে ২০১৯ সালেই কেবল দস্যুতার ঘটনা শূন্যে নেমেছে। এর আগে ২০১০ সালে সর্বোচ্চ ২১টি, ২০১১ সালে ১৪টি, ২০১২ সালে ১২টি, ২০১৫ সালে ১০টি, ২০১৬ সালে একটি, ২০১৭ সালে ১১টি এবং ২০১৮ সালে ৯টি দস্যুতা-চুরির ঘটনা ঘটে। ২০২০ সালের পুরো বছরে তিনটি ঘটনা রেকর্ড করেছে রিক্যাপ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button