চট্টগ্রাম-নেদারল্যান্ড-ইংল্যান্ড সরাসরি সার্ভিসে দুইমাসে গেল ১৫শ রপ্তানি কন্টেইনার

চট্টগ্রাম-রটারড্যাম-লিভারপুল রুটে পণ্য নিতে চট্টগ্রাম আসছে আরেকটি কন্টেইনার জাহাজ ‘সেরেন’। চট্টগ্রাম থেকে কমপক্ষে ৪শ একক রপ্তানি পণ্য নিয়ে জাহাজটি সরাসরি নেদারল্যান্ডের রটারডাম বন্দর যাবে। এরপর সেখানে কিছু পণ্য নামিয়ে জাহাজটি যাবে যুক্তরাজ্যের লিভারপুল বন্দরে।
চট্টগ্রাম-রটারড্যাম-লিভারপুল রুটে এর আগে চারটি কন্টেইনার জাহাজ সরাসরি পণ্য পরিবহন করেছিল। এসব জাহাজে দেড় হাজার একক রপ্তানি পণ্য চট্টগ্রাম থেকে সরাসরি নেদারল্যান্ড ও যুক্তরাজ্য পৌঁছেছিল। এটি এই রুটের পঞ্চম জাহাজ।
চট্টগ্রাম-রটারড্যাম-লিভারপুল রুটে পণ্য পরিবহনে নিয়োজিত কম্পানির শিপিং এজেন্ট ফনিক্স শিপিংয়ের প্রধান নির্বাহী ক্যাপ্টেন সৈয়দ সোহেল হাসনাত বলেন, আমরা গত ২২ মে থেকে এই রুটে প্রথম এবং সরাসরি পণ্য পরিবহন শুরু করি। আমাদের লক্ষ ছিল মাসে তিনটি ট্রিপ পরিচালনা করা। কিন্তু এখন পর্যন্ত আমরা ৪টি ট্রিপ পরিচালনা করেছি। আমাদের দুটি ট্রিপ টেকনিক্যাল কারণে বাতিল হয়েছিল; আগামী ১৭ আগস্ট আসছে জাহাজ ‘সেরেন’। ফলে বুকিং কমেনি কোনভাবেই। এখনো আমরা বেশ ভালো সাড়া পাচ্ছি।
তিনি বলেন, আগস্টের ২৮ তারিখ আমাদের আরো একটি জাহাজ আসবে। আমরা চাইছি প্রতিমাসে এখন থেকে দুটি ট্রিপ চট্টগ্রাম থেকে ছেড়ে যেতে। যে পরিমান সাড়া আছে তাতে আমরা পারবো বলেই বিশ্বাস।
উল্লেখ্য, চট্টগ্রাম-রটারড্যাম-লিভারপুল রুটে পণ্য পরিবহন চালু করেছে লন্ডনভিত্তিক ফ্রেইট ফরোয়ার্ডার প্রতিষ্ঠান ‘অলসীস গ্লোবাল লজিস্টিকস’। কম্পানির প্রতিটি জাহাজ অপেক্ষাকৃত বড় আকারের, ১৫শ একক থেকে ১৮শ একক কন্টেইনার ধারনক্ষমতার। প্রচট্টগ্রাম থেকে ছেড়ে গিয়ে ২০-২১ দিন পর রটারড্যাম বন্দরে পৌঁছবে। এরপরদিন পৌঁছবে লিভারপুলে। ফিরতি পথে লিভারপুল থেকে যাত্রা শুরু করে রটারড্যামে পণ্য বোঝাই করে আবারো চট্টগ্রামের উদ্দেশ্যে রওনা দিবে। ২২ মের পর থেকে এভাবেই চলছিল রুটটি।
বাংলাদেশের মোট পণ্য রপ্তানির ৪৫ শতাংশই রপ্তানি হয় ইউরোপের দেশগুলোতে। এরমধ্যে সবচে বেশি পণ্য রপ্তানি হয় জার্মানীতে, দ্বিতীয় অবস্থানে আছে ইংল্যান্ড। এখন পর্যন্ত জার্মানীতে সরাসরি পণ্য পরিবহন সেবা চালু হয়নি। তবে ইংল্যান্ড রুটে পণ্য পরিবহন সেবা চালু হয়ায় অসম্ভব খুশি তৈরী পোশাক রপ্তানিকারকরা।