চট্টগ্রাম কাস্টমসে রাজস্ব লক্ষমাত্রা প্রথম প্রান্তিকে অর্জিত না হলেও প্রবৃদ্ধি ২৫ শতাংশ

আমদানি-রপ্তানি বাড়লেও অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিক (জুলাই-সেপ্টেম্বর) চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের রাজস্ব লক্ষমাত্রা অর্জিত হয়নি; তবে আগের অর্থবছরের একই সময়ের চেয়ে রাজস্ব প্রবৃদ্ধি হয়েছে প্রায় ২৫ শতাংশ।
চট্টগ্রাম কাস্টমস বলছে, চলতি ২০২০-২১ অর্থবছরের জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত তিন মাসে রাজস্ব আদায় হয়েছে ১২ হাজার ৯৩৮ কোটি ১৫ লাখ টাকা। বিপরিতে রাজস্ব আহরণের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১৪ হাজার ৫০২ কোটি টাকা। অর্থাৎ লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় গত তিনমাসে রাজস্ব আয় কম হয়েছে ১ হাজার ৫৬৩ কোটি ৮৫ লাখ টাকা।
তবে আগের বছরের প্রথম প্রান্তিকের তুলনায় বেশ ভালো রাজস্ব অগ্রগতি হয়েছে রাজস্ব আয়ে এককভাবে শীর্ষে থাকা চট্টগ্রাম কাস্টমসের। গত ২০২০-২১ অর্থবছরের একই সময়ে রাজস্ব আদায় হয়েছিল ১০ হাজার ৩৭৪ কোটি ৬৫ লাখ টাকা। অর্থাৎ গত ২০২০-২১ অর্থবছরের প্রথম তিন মাসের তুলনায় চলতি ২০২১-২২ অর্থবছরের একই সময়ে ২ হাজার ৫৬৩ কোটি ৫০ লাখ টাকা বেশি অর্জিত হয়েছে। এই অর্জনের মাধ্যমেই চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের চলতি অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকে প্রবৃদ্ধি দাঁড়িয়েছে ২৪ দশমিক ৭১ শতাংশ।
চট্টগ্রাম কাস্টমস কমিশনার মো. ফখরুল আলম বলেন, গত অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকের তুলনায় এই প্রান্তিকে আমরা প্রায় ২৫ শতাংশ রাজস্ব প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছি। এই প্রান্তিকের জুলাই মাসের অর্ধেক সময় আমরা কোরবানি ঈদের ছুটি, কঠোর লকডাউনে কাটিয়েছি। সর্বশেষ সেপ্টেম্বরের শেষদিকে পরিবহন ধর্মঘটে রাজস্ব আয় ব্যাহত হয়েছে।
তিনি বলেন, মিথ্যা ঘোষণায় পণ্য আমদানিতে শাস্তির হার বাড়ার পরেও কিছু স্বার্থান্বেষী মহল এখনো রাজস্ব ফাঁকি দেওয়ার চেষ্টা করছে। এছাড়া, অপ্রত্যাশিত পণ্য পরিবহন ধর্মঘট ডেকে দেশের আমদানি রপ্তানি কাজকে ব্যহত করা হচ্ছে। এসব ঘটনা না ঘটিয়ে নিয়ম মেনে এবং দেশের বৃহৎ স্বার্থের কথা চিন্তা ঐক্যবদ্ধভাবে আমাদানি রপ্তানি কাজ করলে রাজস্ব আহরণের লক্ষমাত্রা অর্জন করা কঠিন কিছু হবে না।
কাস্টমস কর্মকর্তারা বলছেন, গত ১৪ দিনে স্বাভাবিক সময়ের মত আমদানি-রপ্তানির শুল্কায়ন হলে আরো অন্তত ২২শ কোটি টাকা আদায় সম্ভব হত।
উল্লেখ্য, চলতি ২০২১-২২ অর্থবছরে চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউসের রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৬৪ হাজার ৭৫ কোটি টাকা। এর মধ্যে প্রথম তিন মাসে আহরণ হয়েছে ১২ হাজার ৯৩৮ কোটি ১৫ লাখ টাকা। অর্থাৎ লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউসকে আগামী ৯ মাসে আরো ৫১ হাজার ১৩৬ কোটি ৮৫ লাখ টাকা আহরণ করতে হবে।