চট্টগ্রাম-ইউরোপ রুটে সরাসরি কন্টেইনার জাহাজ পরিচালনায় আগ্রহী আরো দুই ইউরোপের দেশ-পর্তুগাল ও স্লোভেনিয়া। ইতোমধ্যে জাহাজ পরিচালনায় সমঝোতা স্মারক সই করতে আগ্রহ দেখিয়েছে এই দুটি দেশ।
বর্তমান চট্টগ্রাম-ইতালি রুটে সরাসরি জাহাজ পরিচালনা করছে ইতালিভিত্তিক ফরোয়ার্ডার প্রতিষ্ঠান ‘রিফ লাইন’। নতুন দুটি দেশ যুক্ত হলে এই সংখ্যা উন্নীত হবে তিনটিতে।
জানতে চাইলে চট্টগ্রাম বন্দর চেয়ারম্যান রিয়ার এডমিরাল এম. শাহজাহান বলেন, ইউরোপের দেশ পর্তুগাল ও স্লোভেনিয়া সরাসরি তাদের বন্দরে জাহাজ পরিচালনায় আনুষ্ঠানিকভাবে আগ্রহ দেখিয়েছে। আমরা খুবই গুরুত্ব সহকারে বিষয়টি দেখছি। আবেদন পেলে আমরা অত্যন্ত দ্রুত সেগুলো অনুমোদন দিব।
তিনি বলেন, ইউরোপের দুই দেশ ছাড়া সংযুক্ত আরব-আমিরাতের আবুধাবি ও দুবাইয়ের দুটি বন্দর চট্টগ্রাম বন্দরের সাথে সরাসরি পণ্যবাহি জাহাজ পরিচালনায় আগ্রহ প্রকাশ করেছে। তাদের আবেদন আমরা যত্ন সহকারে অগ্রাধিকারভিত্তিতে দেখবো।
জানা গেছে, চট্টগ্রাম-ইতালি রুটে প্রথমবার সরাসরি কন্টেইনার জাহাজ পরিচালনা শুরু করে ‘সুঙ্গা চিতা’ জাহাজ। ২০২২ সালের মার্চ মাসে প্রথম এই রুটে পণ্য পরিবহন শুরু হয়। এরফলে ট্রান্সশিপমেন্ট বন্দর-সিঙ্গাপুর, কলম্বো, তানজুম পেলিপাস, পোর্ট কেলাং এবং চীনের বন্দর বাদ দিয়ে ইউরোপ-আমেরিকায় পণ্য রপ্তানির সুযোগ তৈরী হয়। এতে প্রচুর সময় সাশ্রয় হয়, হয় অর্থ সাশ্রয়। কমে যায় ভোগান্তি। তাদের পণ্য পরিবহনের আগ্রহ দেখে চট্টগ্রাম-ইউরোপ রুটে নতুন একটি জাহাজ সার্ভিস চালুর উদ্যোগ নিয়েছিল সী কনসোর্টিয়াম বাংলাদেশ লিমিটেড। পরবর্তীতে সেটি আর এগোয়নি। এরপর নতুন দুটি দেশ আগ্রহ দেখালো।
ইউরোপের দেশ পর্তুগাল ও স্লোভেনিয়ার সাথে চট্টগ্রাম বন্দরের সরাসরি জাহাজ সার্ভিস চালু হলে কিভাবে লাভবান হবো এমন প্রশ্নের উত্তরে রিয়ার এডমিরাল এম. শাহজাহান বলেন, দেখুন ইউরোপের দেশগুলোর মধ্যে খুব বেশি সীমান্ত জটিলতা নেই। ফলে চট্টগ্রাম থেকে ইউরোপের যেকােন দেশে জাহাজ ভিড়লেই সেই দেশ থেকে সড়কপথে পণ্য পরিবহন করা খুবই সহজ, সময় সাশ্রয়ী। এটি আরো ভালো যে ইউরোপের ব্যস্ততম বন্দরগুলোতে না ভিড়ে অপেক্ষাকৃত কম ব্যস্ত বন্দরে ভিড়িয়ে পণ্য নামালে ক্রেতা-বিক্রেতা দুই পক্ষই লাভবান হবে। এতে করে অন্য দেশগুলোর তুলনায় বাংলাদেশের রপ্তানিকারকদের এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ ত্বরান্বিত হবে।