চট্টগ্রাম বন্দরে পণ্য উঠানামা দ্রুত ও সাশ্রয়ী করতে যুক্ত হয়েছে আধুনিক ‘কী গ্যান্ট্রি ক্রেন’। এই আধুনিক যন্ত্র দিয়ে বন্দরের এনসিটি ও সিসিটিতে কম সময়ে অনেক বেশি কন্টেইনার উঠানামা করা যায়। কিন্তু চট্টগ্রাম বন্দরের জিসিবি’র প্রধান ছয়টি কন্টেইনার জেটিতে নেই কোন কী গ্যান্ট্রি ক্রেন; সেখানে কেবলমাত্র জাহাজের ক্রেন দিয়েই পণ্য উঠানামা চলে। অথচ সেই ছয়টি জেটিতেই মোট কন্টেইনার উঠানামার ৩৮ শতাংশ হয়েছে। ২০২১ সালের চট্টগ্রাম বন্দরের পণ্য উঠানামার চিত্র থেকে এই তথ্য জানা গেছে।
২০২০ সালের তথ্য বলছে, মোট কন্টেইনার উঠানামার ৩৭ শতাংশ করেছে এই ছয়টি কন্টেইনার জেটি। অর্থ্যাৎ ২০২১ সালে এক শতাংশ বাড়তি কন্টেইনার উঠানামা হয়েছে জিসিবি’তে।
কেন জানতে চাইলে চট্টগ্রাম বন্দরের পরিবহন বিভাগের এক কর্মকর্তা বলছেন, অনেক সময় জাহাজের ক্রেন দিয়েও ভালো পণ্য উঠানামা হয়; যদি জাহাজগুলো ভালো কন্ডিশনে থাকে।
তবে কী গ্যান্ট্রি ক্রেন দিয়ে কম পণ্য উঠানামা হয়েছে এমনটি বলা যাবে না। কারণ বন্দর থেকে পণ্য ডেলিভারি কত দ্রুত হচ্ছে সেটির ওপর নির্ভরশীল কী গ্যান্ট্রি ক্রেনের পারফরম্যান্স।
জানা গেছে, চট্টগ্রাম বন্দরে মোট কন্টেইনার উঠানামা হয়েছে ৩২ লাখ ১৪ হাজার একক। এই উঠানামার মধ্যে চট্টগ্রাম বন্দরের প্রধান জেটি, নিউমুরিং কন্টেইনার টার্মিনাল (এনসিটি), চট্টগ্রাম কন্টেইনার টার্মিনাল (সিসিটি), ঢাকা আইসিডি, পাঁনগাও কন্টেইনার টার্মিনাল যুক্ত আছে।
এনিসিটিতে মোট জেটি আছে ৫টি, এরমধ্যে বড় জাহাজ ভিড়ানো হয় চারটি জেটিতে। এই চার জেটিতেই আছে রেকর্ড পরিমান ১০টি ‘কী গ্যান্ট্রি ক্রেন’। এনসিটি-৫ জেটিতে ‘কী গ্যান্ট্রি ক্রেন’ না থাকায় সেখানে কেবল ক্রেনবিহীন জাহাজ ভিড়ানো হয়। কী গ্যান্ট্রি ক্রেন ব্যবহার করে ২০২১ সালে মোট কন্টেইনার উঠানামার ৩৬ শতাংশ করেছে এনসিটি, ২০২০ সালে এর পরিমান ছিল ৩৯ শতাংশ।
চট্টগ্রাম কন্টেইনার টার্মিনালের দুটি জেটিতে আছে ৪টি ‘কী গ্যান্ট্রি ক্রেন’। সেই ক্রেন ব্যবহার করে ২০২১ সালে সিসিটিতে কন্টেইনার উঠানামা হয়েছে মোট কন্টেইনার উঠানামার ১৮ শতাংশ; ২০২০ সালে এই পরিমান ছিল ১৬ শতাংশ।
সাধারন কন্টেইনার জেটি বা জিসিবিতে কোন কী গ্যান্ট্রি ক্রেন’ নেই। সেখানে ক্রেনবিহীন জাহাজ ভিড়িয়ে জাহাজের নিজস্ব ক্রেন দিয়েই পণ্য উঠানামা করা হয়। ২০২০ সালে কন্টেইনার উঠানামার পরিমান ছিল ৩৭ শতাংশ; ২০২১ সালে এর পরিমান বেড়ে হয়েছে ৩৮ শতাংশ।