কক্সবাজারের কুতুবদিয়া উপকূলের অদূরে চট্টগ্রাম বন্দর জলসীমায় পণ্যবাহী একটি লাইটার জাহাজে বৃহস্পতিবার ভোররাতে দুর্বৃত্তদের হামলায় সাতজন নাবিক আহত হয়েছেন। তারা জাহাজের যন্ত্রাংশ ভাঙচুর করে টাকা ও মালামাল লুট করে নিয়ে গেছে। ভাঙচুরের শিকার হওয়া লাইটার জাহাজটির নাম এমভি মার্কেন্টাইল-৫৪। এটি মেঘনা গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের নিজস্ব জাহাজ। বিদেশ থেকে আমদানি করা শিল্পের কাঁচামাল পরিবহনের জন্য জাহাজটি ব্যবহার করে মেঘনা গ্রুপ।
এমন এক সময়ে পণ্যবাহি জাহাজে হামলার ঘটনা ঘটলো যখন দুই বছর ধরে জিরো পাইরেসি বা দস্যুতামুক্ত রিপোর্টের খ্যাতির পর চট্টগ্রাম বন্দর জলসীমায় গত মার্চে একটি দস্যুতার ঘটনা রেকর্ড করেছে সংঘটিত সশস্ত্র ডাকাতি, দস্যুতা ও চুরি প্রতিরোধে কাজ করে আন্তর্জাতিক সংগঠন রিক্যাপ।
‘এমভি মার্কেন্টাইল-৫৪’ জাহাজটির মাস্টার মো. নেছার উদ্দিন বৃহস্পতিবার বলেন, ‘কুতুবদিয়া লাইট হাউসের অদূরে বড় জাহাজ থেকে সিমেন্ট শিল্পের কাঁচামাল ক্লিংকার নিয়ে সাগরে নোঙর করে ছিলাম আমরা। জোয়ার শুরু হলে কর্ণফুলী নদীতে আসার কথা ছিল। তার আগেই বুধবার দিবাগত রাত তিনটার দিকে হঠাৎ একটি নৌযানে ১৫ জনের মতো দুর্বৃত্ত জাহাজে ওঠার চেষ্টা করে। আমরা বাধা দেওয়ায় তারা দুই রাউন্ড গুলি করে। আত্মরক্ষার্থে সবাই কক্ষের ভেতরে চলে আসার পর তারা জাহাজে ওঠে ভাঙচুর শুরু করে। এ সময় জাহাজের নাবিকদের রড দিয়ে প্রহার করে তারা। বঙ্গোপসাগরে পণ্যবাহী জাহাজে হামলা, সাতজন আহত হয়।
নেছার উদ্দিন জানান, সন্ত্রাসীরা জাহাজের বেতার নিয়ন্ত্রণ যন্ত্র, রাডার, ব্রিজের কাচ, দরজাসহ মূল্যবান যন্ত্র ও অবকাঠামো ভাঙচুর করে। যাওয়ার সময় ৮০ হাজার টাকা ও কয়েকটি মোবাইল নিয়ে যায়।
মেঘনা গ্রুপের লাইটার জাহাজের প্রধান দায়িত্বশীল কর্মকর্তা জেবেল হোসেন বলেন, হামলার পর গতকাল জাহাজটি কর্ণফুলী নদীতে এনে রাখা হয়েছে। আহত ব্যক্তিদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। হামলার ঘটনায় কুতুবদিয়া থানায় মামলার প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে।
ঘটনার বিষয়ে জানতে চাইলে কুতুবদিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. ওমর হায়দার বলেন, ঘটনা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
জাহাজের মাস্টার জানান, ক্লিংকার নিয়ে জাহাজটি বৃহস্পতিবার মেঘনাঘাটে ফ্রেশ সিমেন্ট কারখানায় নেওয়ার কথা ছিল। হামলার কারণে এখন দু-এক দিন পরে নেওয়া হবে।