কভিডের ধাক্কায় কলম্বো বন্দরে পণ্য উঠানামা কমেছে ৫ দশমিক ২ শতাংশ

বিশেষ প্রতিনিধি
কভিড-১৯ মহামারির ধাক্কায় শ্রীলংকার কলম্বো সমুদ্রবন্দরে পণ্য উঠানামা ৫ দশমিক ২ শতাংশ কমেছে। এরমধ্য ট্রান্সশিপমেন্ট পণ্য উঠানামা কমেছে ৩ দশমিক ৩ শতাংশ এবং আভ্যন্তরীন পণ্য উঠানামা কমেছে ১৪ দশমিক ৪ শতাংশ। ২০২০ সালে পণ্য উঠানামার চিত্র থেকে এই তথ্য জানা গেছে।
কলম্বো হচ্ছে শ্রীলংকার প্রধান সমুদ্রবন্দর; যার বড় ব্যবহারকারী হচ্ছে ভারত। ভারতে কভিডের ধাক্কায় ২০২০ সালে আমদানি-রপ্তানিতে ধ্বস নেমেছে; সেই ধাক্কা এসে পড়েছে কলম্বো বন্দরে। এরফলে কন্টেইনার উঠানামা কমেছে।
কভিড-১৯ মহামারির ধাক্কায় বিশ্ব অর্থনীতিতে চলছে মহামন্দা; এর প্রভাবে আমদানি-রপ্তানি কমে যাওয়ায় পণ্য উঠানামায় ব্যাপক ধ্বস নেমেছে বিশ্বের শীর্ষ সমুদ্রবন্দরগুলোতে। চট্টগ্রাম বন্দরেও এর নেতিবাচক প্রভাব পড়ে কন্টেইনারে পণ্য উঠানামা কমেছে ৮ শতাংশ। কিন্তু বিশ্ব সমুদ্রবন্দরগুলোতে কন্টেইনারে পণ্য উঠানামা যে হারে কমেছে; সেই তুলনায় চট্টগ্রাম বন্দর একেবারেই ব্যতিক্রম। হিসাব কষে দেখা গেছে, কলম্বো সমুদ্রবন্দরে আভ্যন্তরীন পণ্য উঠানামা কমেছে ১৪ দশমিক ৪ শতাংশ। সেই তুলনায় চট্টগ্রাম বন্দরে কমেছে মাত্র ৮ শতাংশ। চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে ট্রানজিট-ট্রান্সশিপমেন্ট পণ্য পরিবহন হয় কেবল পরীক্ষামূলকভাবে। ফলে মোট পণ্য দেশের মধ্যেই অর্থ্যাৎ আভ্যন্তরীন ব্যবহারের জন্যই আসে।
কলম্বো বন্দরের হিসাবে, শ্রীলংকার আভ্যন্তরীন পণ্য আমদানি রপ্তানিতে কভিডের নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে। এর প্রমান মিলেছে তাদের তথ্যে। সেই বন্দরে আভ্যন্তরীন পণ্য উঠানামা কমেছে প্রায় সাড়ে ১৪ শতাংশ। বিগত ২০১৯ সালে আভ্যন্তরীন পণ্য উঠানামা হয়েছিল ১২ লাখ ৭৩ হাজার একক আর ২০২০ সালে হয়েছিল ১০ লাখ ৯০ হাজার একক। আর ট্রান্সশিপমেন্ট পণ্য উঠানামা হয়েছিল ৩ দশমিক ৩ শতাংশ। ২০১৯ সালে সেই বন্দর দিয়ে ট্রান্সশিপমেন্ট পণ্য উঠানামা হয়েছিল ৫৬ লাখ ১৩ হাজার একক আর ২০২০ সালে উঠানামা হয়েছিল ৫৮ লাখ ২ হাজার একক।