বাংলা নিউজ

এলসিএল পণ্য বন্দর থেকে ছাড় নিতে যোগ হয়েছে নতুন দুটি ইয়ার্ড

চট্টগ্রাম বন্দরের এলসিএল (এক কন্টেইনারের অনেকের পণ্য) আমদানি পণ্য ইয়ার্ডে নামিয়ে ছাড় নিতে এতদিন বন্দরের বহরে ছিল ১০টি ইয়ার্ড। এসব ইয়ার্ডে কন্টেইনার খুলে পণ্য নামিয়ে বন্দর-কাস্টমসের উপস্থিতিতে কায়িক পরীক্ষার হতো। শুল্ক পরিশোধ সাপেক্ষে সেই পণ্য বন্দর থেকে ছাড় নেয়া হতো। পণ্য নামিয়ে রাখার জন্য নতুন আরো দুটি ইয়ার্ড বাড়ানো হয়েছে। একটি হচ্ছে ‘এফ শেডে’ আরেকটি ভার ফ্লো কন্টেইনার ইয়ার্ডে। এরফলে আগের চেয়ে দ্রুত পণ্য ছাড় নেয়া সম্ভব হবে।

জানতে চাইলে চট্টগ্রাম বন্দর পরিচালক (পরিবহন) এনামুল করিম বলছেন, আজ বুধবার নতুন একটি ইয়ার্ড চালু হয়েছে। যেটিতে কমপক্ষে ১০ হাজার টন পণ্য নামিয়ে রাখা সম্ভব হবে। আরেকটি ইয়ার্ড নির্মান শেষের পথে, আগামী সপ্তাহেই সেটি চালু হবে। দুটি ইয়ার্ড যোগ হলে এলসিএল পণ্য রাখার সক্ষমতা ২০ শতাংশ বাড়বে। বন্দর চেয়ারম্যান রিয়ার এডমিরাল এম. শাহজাহান মহোদয়ের নির্দেশনায় এটি দ্রুত নির্মান সম্ভব হয়েছে।

গার্মেন্ট মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ অনেকদিন ধরেই দাবি জানিয়ে আসছিল বন্দরের ভিতর এলসিএল কন্টেইনার ইয়ার্ড সুবিধা বাড়ানোর। তাদের দাবি বিবেচনায় নিয়েই আমরা এগুলো নির্মান করেছি উল্লেখ করে এনামুল করিম বলেন, এরফলে এলসিএল কন্টেইনার থেকে দ্রুত পণ্য ছাড় করা সম্ভব হবে।

জানা গেছে, বন্দরের দুই ধরনের কন্টেইনারভর্তি হয়ে পণ্য আসে। একটি হচ্ছে এফসিএল অর্থ্যাৎ এক কন্টেইনার একই আমদানিকারকের পণ্য। আর এলসিএল হচ্ছে, এক কন্টেইনারে একাধিক আমদানিকারকের পণ্য। সাধারনত এফসিএল কন্টেইনার বন্দর থেকে সরাসরি ডেলিভারির সুযোগ থাকে। কিন্তু এলসিএল কন্টেইনার যেহেতু একাধিক আমদানিকারকের পণ্য থাকে সেজন্য বন্দরর ভিতর কন্টেইনার খুলে কায়িক পরীক্ষা করতে হয়। বিশ্বের কোন সমুদ্রবন্দরে এই অপ্রচলিত নিয়ম আর চালু নেই।

গার্মেন্ট মালিকদের নেতা এশিয়ান গগ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম এ সালাম বলছেন, এলসিএল কন্টেইনারে গার্মেন্ট শিল্পের ছোট ছোট পণ্য যেমন-জিপার, ইলাস্টিক, বাটন থাকে। ছোট হলেও সেগুলো কিন্তু খুবই গুরুত্বপূর্ণ। পণ্য তৈরী হয়ে গেলেও অনেক সময় সেই পণ্যের জন্য আমাদের অপেক্ষায় থাকতে হয়। ইয়ার্ড বাড়ায় আশা করছি ভোগান্তি কমবে; কম সময়ে পণ্য হাতে পাব।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button