এইচআরসি গ্রুপের সম্পত্তি জব্দ করে কসকো শিপিংয়ের ক্ষতিপুরণ প্রদানের নির্দেশ

এইচআরসি গ্রুপের সম্পত্তি জব্দ করে এক কোটি টাকা ক্ষতিপুরণ প্রদানের নির্দেশ দিয়েছেন ঢাকা জজ আদালত। চীনভিত্তিক শিপিং কম্পানি ‘কসকো শিপিং’ এবং ‘নিউ গোল্ডেন সী শিপিং’ এর মামলার রায়ে গত ৬ অক্টোবর আদালত এই রায় দেন। বিচারক ছিলেন, ঢাকা জজ আদালতের বিচারক এ এইচ এম হাবিবুর রহমান ভূঁইয়া।
চীনভিত্তিক কসকো শিপিং বাংলাদেশে জাহাজ ব্যবসা পরিচালনার জন্য ‘কসকো শিপিং বাংলাদেশ লিমিটেড’ নাম দিয়ে এজেন্ট হিসেবে নিয়োগ দেয় এইচআরসি গ্রুপকে। বিভিন্ন অনিয়মের কারণে তাদের এজেন্সি বাতিল করে ২০১৬ সালে নতুন এজেন্ট হিসেবে কন্টিনেন্টাল গ্রুপকে নিয়োগ দেয়। এজেন্সি বাতিলের বিরুদ্ধে ক্ষুদ্ধ হয়ে ২০১৬ সালে এইচআরসি গ্রুপ ৩১২ কোটি টাকার আর্থিক ক্ষতিপুরণ মামলা করে সিঙ্গাপুরের আদালতে। শুনানির পর ২০১৮ সালে সিঙ্গাপুর আদালত সেই মামলার রায়ে এইচআরসির আবেদন নাকচ করে দেয় আর মামলায় জিতে কসকো শিপিং।
মিথ্যা তথ্য দিয়ে নিজেদের সুনাম ক্ষুন্নের অভিযোগ এনে উল্টো এইচআরসি গ্রুপের বিরুদ্ধে ক্ষতিপুরণ মামলা করে বসে কসকো শিপিং লাইন। দুই বছর মামলা পরিচালনা ব্যয় হিসাব করে ১ লাখ ৬০ হাজার সিঙ্গাপুর ডলার ক্ষতিপুরণ দাবি করে। ২০১৮ সালে সিঙ্গাপুর আদালত সেই ক্ষতিপুরণ প্রদানের জন্য নির্দেশ দেয় এইচআরসি গ্রুপকে। কিন্তু ক্ষতিপুরনের টাকা পেতে হলে বাংলাদেশি কোন আদালতে রায় লাগবে। এই অবস্থায় কসকো শিপিং ২০১৯ সালে ঢাকার আদালতে মামলা দায়ের করেন। তিনবছর ধরে মামলার শুনানির পর ঢাকা জজ আদালতের বিচারক এ এইচ এম হাবিবুর রহমান ভূঁইয়া চলতি ৬ অক্টোবর আদালত রায় দেন এবং এইচআরসি গ্রুপের চট্টগ্রাম অফিস, ঢাকা অফিস, ব্যাংক একাউন্ট এবং কাস্টমসের আমদানি-রপ্তানির আইডি নম্বার জব্দ করে এসব সম্পত্তি বিক্রি করে ১ লাখ ৬০ হাজার সিঙ্গাপুর ডলার (এক সিঙ্গাপুর ডলার ৭০ টাকা ৮১ পয়সা হিসেবে বাংলাদেশি টাকায় ১ কোটি ১৩ লাখ টাকা) ক্ষতিপুরণ প্রদানের নির্দেশ দেন।
জানতে চাইলে এইচআরসি গ্রুপের শীর্ষস্থানীয় কেউ মন্তব্য করতে রাজি হননি। পরে মহাব্যবস্থাপক (শিপিং) সালাহ উদ্দিন বলেন, আমি এ বিষয়ে অবগত নই কিছুই জানি না। কোন আদেশও আমি পাইনি।