বাংলা নিউজ

উপকূলীয় নৌপথে প্রথমবার গার্মেন্ট পণ্য গেল রপ্তানি ভারতে

প্রথমবারের মতো দেশের তৈরি পোশাকশিল্পের অব্যবহৃত কটন কাপড় বা ঝুট পণ্য রপ্তানি হলো ভারতে। আজ শনিবার দুপুর মুন্সীগঞ্জে ধলেশ্বরী নদীর পশ্চিম মুক্তারপুর সামিট অ্যালায়েন্স নৌ বন্দর থেকে ওই ঝুট নিয়ে ‌’ইয়া রাজ্জাক’ নামে একটি জাহাজ ভারতের উদ্দেশে ছেড়ে যায়। ঝুটবাহী ওই জাহাজটি ভারতের আসাম রাজ্যের ধুবরী বন্দরে যাবে। ৬৫০ কিলোমটার দূরত্বের গন্তব্যে পৌঁছাতে জাহাজটির সময় লাগবে ছয় থেকে সাত দিন। এই চালানের মধ্য দিয়ে প্রথমবারের মতো বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের ঝুট রপ্তানি কার্যক্রম শুরু হয়েছে।

বিআইডব্লিউটিএর পরিচালক মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম জানান, অতীতে খালি জাহাজ ভারতে গিয়ে আমদানি পণ্য নিয়ে দেশে ফিরত। এবার প্রথমবারের মতো ঝুট নিয়ে ভারতে যাচ্ছে বাংলাদেশি জাহাজ।
রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘প্রথম চালানে ১১১ টন ঝুট রপ্তানি করা হচ্ছে। এভাবে রপ্তানি করা গেলে বছরে এক লাখ টন ঝুট দেশের বাইরে পাঠানো সম্ভব হবে বলে আশা করা হচ্ছে। এতে বিপুল পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা আয়েরও সুযোগ হবে।

উল্লেখ্য, নৌ বাণিজ্যের জন্য ১৯৭২ সাল থেকে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে প্রটোকল অন ইনল্যান্ড ওয়াটার ট্রানজিট অ্যান্ড ট্রেড (পিআইডব্লিউটিটি) চলমান রয়েছে। ২০০০ সালের আগ পর্যন্ত শুধু ভারতীয় জাহাজের মাধ্যমে পণ্য আনা-নেয়া করা যেত। ২০০০ সালের পর এ কাজে বাংলাদেশের জাহাজও সম্পৃক্ত হয়।
নৌপথে ভারত থেকে এক সময় শুধু সিমেন্টের কাঁচামাল ফ্লাই অ্যাশ আমদানি হতো। এখন তার পাশাপাশি চাল, গম, ভুট্টার মতো শস্য, স্টিলের উপকরণ ইত্যাদিও নৌপথের মাধ্যমে আমদানি হয়। এছাড়া ট্রান্সশিপমেন্টের মাধ্যমে আমদানি-রফতানি বেড়েছে। বাংলাদেশ ও ভারতের ১০টি সুনির্দিষ্ট নৌপথ দিয়ে এসব জাহাজ চলাচল করে। দুই দেশের মধ্যে উপকূলীয় নৌচলাচল শুরু হওয়ায় পণ্য পরিবহনের সময় ৭ থেকে ১০ দিনে নেমে এসেছে। এতে পরিবহন ব্যয় সাশ্রয় হচ্ছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button