1ইতালির দুটি বন্দরকে ‘ট্রান্সশিপমেন্ট হাব’ বানিয়ে সেখান থেকেই রপ্তানি পণ্য ইউরোপ-আফ্রিকা-মধ্যপ্রাচ্যে পাঠানোর কৌশল নিয়েছে শিপিং লাইনগুলো। মুলত কলম্বো বন্দরে ব্যাপক জাহাজজট এড়াতেই এই বিকল্প রুট দিয়ে দ্রুত-সাশ্রয়ে পণ্য পরিবহন করতে চাইছে শিপিং লাইন-ফ্রেইট ফরোয়ার্ডাররা।
সেই পরিকল্পনার অংশ হিসেবে চট্টগ্রাম বন্দর থেকে রপ্তানি পণ্য ইতালি নিয়ে গিয়ে সেখান থেকে সড়কপথে বা সমুদ্রপথে ইউরোপের বিভিন্ন সমুদ্রবন্দরে পাঠানো হচ্ছে। একইসাথে লিবিয়া বন্দর হয়ে তুরস্কের বন্দরেও নেয়া হচ্ছে।
জানতে চাইলে ইতালির ফ্রেইট ফরোয়ার্ডার রিফ লাইন লিমিটেডের পরিচালক আবুল কালাম আজাদ বলছেন, চট্টগ্রাম-ইতালি রুটে আমাদের নিয়মিত কন্টেইনার জাহাজ চলাচল করছে। একই জাহাজে পণ্য ইতালি পর্যন্ত গিয়ে সেখান থেকে ইউরোপ-আফ্রিকা-মধ্যপ্রাচ্যের বন্দরে যাবে।
তিনি বলেন, ‘কেপ ফ্লোরেস’ ৯ জুন রপ্তানি পণ্য নিয়ে চট্টগ্রাম বন্দর থেকে রওনা দিবে।জাহাজটি ২৫ জুন ইতালির সালেরনো বন্দরে পৌঁছবে। সেখান থেকে ৩০ জুন আরেক জাহাজ ‘কে ওশান’ রওনা দিবে লিবিয়ার মিসুরাতা বন্দরের উদ্দেশ্যে। সালেরনো থেকে মিসুরাতা পৌঁছতে লাগবে তিনদিন। এরপর দক্ষিন তুরস্কের মারজিন বন্দরে পৌঁছতে লাগবে সাতদিন। তুরস্কের আরেক বন্দর ইজমির পৌঁছতে লাগবে নয়দিন। এরপর ১০ দিনে তুরস্কের ইস্তাম্বুলে পৌঁছবে জাহাজটি। ফিরতি পথে আবারো সালেরনো পৌঁছবে।
শিপিং লা্ইনগুলোর হিসাবে, আগে চট্টগ্রাম বন্দর থেকে এশিয়ার ট্রান্সশিপমেন্ট বন্দর হয়ে তুরস্কের মারসিন, ইজমির এবং ইস্তাম্বুল বন্দরে পণ্য পাঠাতে সময় লাগতো ৪৫ থেকে ৫০ দিন। একইভাবে লিবিয়াতেও পণ্য যেতে ৪০ দিনের বেশি সময় লাগতো। কিন্তু ইতালির সেলেরনো বন্দর থেকে মাত্র ৩ থেকে ১০ দিনের মধ্যে পণ্য পৌঁছাবে লিবিয়া ও তুরস্কে। বিদেশি ক্রেতাদের কাছে পণ্য পাঠানোর সময় অর্ধেকে নেমে আসায় এসব দেশ থেকে অর্ডারের পরিমাণ বাড়বে বলে আশা গার্মেন্টস ব্যবসায়ীদের।
তবে শিপিং লাইনগুলোর শঙ্কা, এই রুটগুলো সাময়িক সময়ের জন্য। দীর্ঘস্থায়ীভাবে এই রুট কখনোই চলবে না। কারণ এই রুটে প্রথমে এত আমদানি পণ্য নেই। আবার সেই পরিমান রপ্তানি পণ্য নেই। নিজেদের পণ্য ছাড়া অন্য ক্রেতার পণ্য পাওয়া খুবই কঠিন।