বাংলা নিউজ

আল-রাজীর হাইড্রাজেন পার অক্সাইডের কন্টেইনারে এর আগে জাহাজে আগুন লেগেছিল

বিএম কন্টেইনার ডিপাের একই মালিকের প্রতিষ্ঠান আল-রাজী কেমিকেল কমপ্লেক্সের হাইড্রাজেন পার অক্সাইডের রপ্তানি কন্টেইনারে এর আগেও বিস্ফোরন হয়েছিল। গত মে মাসে চট্টগ্রাম বন্দর থেকে জাহাজে আল রাজীর তৈরী এই রাসায়নিক জাহাজে করে কম্বোডিয়া যাওয়ার পথেই এক দুর্ঘটনা ঘটেছিল। দুর্ঘটনার পর একটি আনুষ্ঠানিক তদন্তের পর প্রতিবেদনে অগ্নিকাণ্ডের মূল কারণ হিসেবে অনুমোদনহীন প্লাস্টিকের জেরি ক্যানে ১০২ টন হাইড্রোজেন পারঅক্সাইড রাখার কথা বলা হয়েছিল। এজন্য প্লাস্টিকের ক্যানে এই ধরনের রাসায়নিক পরিবহনকে ঝুঁকিপূর্ণ উল্লেখ করে সতর্ক করা হয়েছিল আল রাজী কেমিকেল কমপ্লেক্সকে। কিন্তু সেটি পাত্তাই দেনই আল-রাজী কিংবা বিএম কন্টেইনার ডিপো।
সেই সতর্কতার প্রাপ্তির পর গত ১ জুন ৩৩ কন্টেইনার হাইড্রােজেন পার অক্সাইডভর্তি রপ্তানি কন্টেইনার সেই প্লাস্টিকের জারেই কারখানা থেকে ডিপােতে আনা হয়েছিল। আর এই প্লাস্টিকের জারে কোন শিপিং লাইন হাইড্রােজেন পার অক্সাইড পরিবহনের রাজি না হওয়ায় সেগুলো ডিপোতে আটকে ছিল।

চট্টগ্রাম ছেড়ে যাওয়া ক্ষতিগ্রস্ত জাহাজটির পরিদর্শন প্রতিবেদন তৈরি করে ‌’কে২এ ম্যানেজমেন্ট লিমিটেড’। প্রতিবেদনে বলা আছে, গত ৬ এপ্রিল চট্টগ্রাম বন্দর থেকে হাং হসিং গার্মেন্টস (কম্বোডিয়া) কোং-এর জন্য পাঠানো আল-রাজির একটি রপ্তানি চালান জাহাজে থাকা অবস্থায় আগুন ধরে যায়। জাহাজটি কম্বোডিয়ার সিহানউকভিল বন্দরে ছাড়পত্রের অপেক্ষায় ছিল। অগ্নিকাণ্ডে জাহাজটির মেঝে পুরোপুরি পুড়ে গেছে এবং এর ছাদ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে প্রতিবেদনে বলা হয়।
প্রতিবেদন অনুসারে, এই অগ্নিকাণ্ডের মূল কারণ ছিল অনুমোদনহীন প্লাস্টিক জেরি ক্যানে ১০২ টন হাইড্রোজেন পারঅক্সাইড রাখা।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জেরি ক্যানগুলো রাসায়নিকের কারণে সৃষ্ট চাপ ধরে রাখতে পারেনি। যার ফলে সেগুলো বিস্ফোরিত হয় এবং জাহাজে আগুন ধরে যায়। জাহাজটিতে মোট ৩ হাজার ৪০০ জেরি ক্যান ছিল। যার প্রতিটিতে প্রায় ৩০ কিলোগ্রাম হাইড্রোজেন পারঅক্সাইড ছিল। মে মাসের শেষ সপ্তাহে পরিদর্শন প্রতিবেদনটি আল-রাজি এবং সংশ্লিষ্ট অন্যান্য কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানো হয়েছিল বলে জানিয়েছেন মায়ের্কস বাংলাদেশের চট্টগ্রাম অফিসের অফিসার (অপারেশনস) মোহাম্মদ চৌধুরী।

স্মার্ট গ্রুপের মহাব্যবস্থাপক (প্রশাসন) শামসুল হায়দার সিদ্দিকী কম্বোডিয়ার জলসীমায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনাটি গুরুতর কিছু নয় বলে জানান। তিনি বলেন, ‘আমি আল-রাজি কেমিক্যালের দায়িত্বে না থাকলেও প্রতিষ্ঠানটির কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে জানতে পেরেছি যে দুর্ঘটনাটি খুবই সামান্য। তারা বলেছেন, একটি কনটেইনার থেকে ধোঁয়া বের হচ্ছিল।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button