Accidentsবাংলা নিউজ

অবশেষে আটক হলো সুয়েজখালের সেই ‘এভার গিভেন’ জাহাজ

বিশেষ প্রতিনিধি

অবেশেষে জব্দ করা হয়েছে ‘এভার গিভেন’ জাহাজকে। ৯১ কোটি ৬০ লাখ মার্কিন ডলার ক্ষতিপুরনের দাবিতে মিশরের আদালতের নির্দেশে গত ১৫ এপ্রিল আটক করা হয়েছে। ইউরোপে পণ্য পরিবহনের সবচে গুরুত্বপূর্ণ রুট সুয়েজ খালে প্রায় এক সপ্তাহ ধরে বন্ধ করে রেখেছিল বিশাল কন্টেইনারবাহী জাহাজ এভার গিভেন। এক সপ্তাহ জাহাজ চলাচল করতে না পারায় বিপুল আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়েছিল সুয়েজ খাল পরিচালনাকারী মিশর কর্তৃপক্ষ।

সুয়েল খাল কর্তৃপক্ষ (এসসিএ) জাহাজটির জাপানি মালিক কোম্পানি শোয়ে কিসেন কাইশা লিমিটেডের বিরুদ্ধে ৯১ কোটি ৬০ লাখ ডলার ক্ষতিপূরণ দাবি করেছে বলে এটির অন্যতম বীমাকারী ইউকে ক্লাব জানিয়েছে। ক্ষতিপূরণ নিয়ে আলোচনা চলার মধ্যেই মিশরের আদালত থেকে এভার গিভেনকে জব্দ করার আদেশ পায়। এরপরই জাহাজটি আটক করা হয়।

উল্লেখ্য, ২৩ মার্চ সকালে মিশরের স্থানীয় সময় সকালে ৪০০ মিটার দৈর্ঘ্য, ৫৯ মিটার প্রশস্ত ও দুই লাখ ২০ হাজার টন কন্টেইনার বহনের ক্ষমতাসম্পন্ন জাহাজটিপ্রবল বাতাস ও ধুলি ঝড়ের সময় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ঘুরে গিয়ে সুয়েজ খালের দক্ষিণাংশের সংকীর্ণ একক লেনে আড়াআড়িভাবে আটকে যায়, এতে জলপথটিতে জাহাজ চলাচল পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায়।

ছয় দিন ধরে ধরে বিশ্বের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ এ জলপথে জাহাজ চলাচল বন্ধ থাকার পর ২৯ মার্চ সকালে উদ্ধারকারী টাগবোটগুলো এভার গিভেনকে পাড়ের চড়া থেকে নামিয়ে ফের ভাসাতে সক্ষম হলে সুয়েজ খাল উন্মুক্ত হয়।

তারপর থেকে জাহাজটি সুয়েজ খালের মধ্যবর্তী তিনটি প্রাকৃতিক হ্রদের একটি গ্রেট বিটারে অবস্থান করছে বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।

গত বুধবার এভার গিভেন জাহাজের প্রযুক্তিগত ব্যবস্থাপক কোম্পানি বানহার্ড শেল্টি শিপম্যানেজমেন্টের (বিএসএম) দেওয়া এক বিবৃতিতে প্রধান নির্বাহী ইয়ান বেভারজ বলেছেন, “জাহাজটিকে জব্দ করার এসসিএর সিদ্ধান্ত অত্যন্ত হতাশাজনক। প্রথম থেকেই বিএসএম ও জাহাজটিতে থাকা নাবিকরা কর্তৃপক্ষগুলোর সঙ্গে পুরোপুরি সহযোগিতা করেছে।

“বিএসএমের প্রাথমিক লক্ষ্য হচ্ছে এই বিষয়টির দ্রুত সমাধান করে জাহাজটি ও নাবিকদের সুয়েজ খাল ছাড়ার ব্যবস্থা করা।” বুধবার এসসিএ জানিয়েছে, ক্ষতিপূরণ নিয়ে আলোচনার মাধ্যমে সমঝোতায় পৌঁছতে ‘কিছু সময় লাগতে পারে’।

এভার গিভেনকে ভাড়া নেওয়া তাইওয়ানি কোম্পানি এভারগ্রিন লাইন বুধবার আলাদাভাবে জানিয়েছে, তারা মিশরের আদালতের আদেশের আওতা খতিয়ে দেখছে এবং ‘জাহাজ ও এতে থাকা মালামালকে পৃথকভাবে বিবেচনা করা যায় কিনা তার সম্ভাব্যতা যাচাই করে দেখছে’।

এসসিএর দুটি সূত্র রয়টার্সকে জানিয়েছে, সুয়েজ খাল কর্তৃপক্ষের ক্ষতিপূরণের দাবিতে সাড়া দিয়ে জাহাজটির মালিকপক্ষ ১০ কোটি ডলার দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছে।

তবে তাদের কথিত এ প্রস্তাবের বিষয়ে শোয়ে কিসেন কাইশা লিমিটেডে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হয়নি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button