বিশেষ প্রতিনিধি,
‘অনবোর্ড অপারেশন বিল’ বার্ষিক কী হারে বাড়বে তা এখনো চুড়ান্ত করতে পারেনি চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ। সর্বশেষ ডিসেম্বরের বৈঠকে গত জানুয়ারির মধ্যে বিলের হার চুড়ান্ত করার কথা থাকলেও চলতি মে মাস নাগাদ সেটি চুড়ান্ত করতে পারেনি বন্দর কর্তৃপক্ষ। এই অবস্থায় বিল প্রদানকারী শিপিং লাইন এবং বিল গ্রহীতা অপারেটরদের মধ্যে দ্বন্দ্ব চরম আকার ধারন করেছে।
পণ্য উঠানামার সাথে নিয়োজিত টার্মিনাল অপারেটর, বার্থ অপারেটর ও শিপ হ্যান্ডলিং অপারেটররা চাইছেন অনবোর্ড বিল প্রতি বছর সাড়ে ৯ শতাংশ হারে বাড়ুক; আর শিপিং এজেন্টরা চাইছেন এটা সাড়ে ৫ শতাংশ হারে জমা দিতে। ফলে জটিলতা লেগেই আছে।
বিষয়টি দ্রুত সমাধান করতে শিপিং এজেন্ট এসোসিয়েশন আজ ৩ মে চট্টগ্রাম বন্দর চেয়ারম্যান বরাবরে একটি চিঠি দিয়েছেন। জানতে চাইলে শিপিং এজেন্ট এসোসিয়েশন সভাপতি সৈয়দ মোহাম্মদ আরিফ বলছেন, গত ২০২০ সালের বৈঠকে সিদ্ধান্ত ছিল দুইমাসের মধ্যে অন বোর্ড বিলের হার চুড়ান্ত করা হবে। কিন্তু মে মাসেও কোন সুফল নেই। সঠিক সময়ে সিদ্ধান্ত না পাওয়ায় আমাদের কেন্দ্রীয় অফিসকে সঠিক তথ্য দিতে পারছি না; এতে দুপক্ষের মধ্যে সম্পর্ক খারাপ হচ্ছে।
তিনি বলছেন, অন্তবর্তীকালীন সময়ের জন্য আমরা সাড়ে ৫ শতাংশ হারে বাড়তি বিল পরিশোধের জন্য চিঠি দিয়েছি। বন্দরের কস্টিং কমিটি নতুন হার নির্ধারন করলে সেটি ১৩ নভেম্বর থেকে কার্যকর হবে।
চট্টগ্রাম বন্দর ব্যবহারকারী দুপক্ষের অনুরােধে চট্টগ্রাম বন্দর বিষয়টি সমাধানের উদ্যোগ নিয়েছিল; বৈঠক করেছিল। এখন কী করবে জানতে চাইলে চট্টগ্রাম বন্দর সদস্য (সদস্য পরিকল্পনা) জাফর আলম বলছেন, মুলত দুইপক্ষের আর্থিক সংশ্লিষ্টতার বিষয়। আন্তরিক থাকলে তারা কত খরচ হচ্ছে বসে বিষয়টি সমাধান করতে পারে আমাদের প্রয়োজন হয় না। এরপর বৃহত্তর স্বার্থে বন্দর এগিয়ে এসেছে যাতে এই জটিলতার কারণে বন্দরের পরিচালন ব্যবস্থায় কোন ব্যাঘাত না ঘটে। আমরা সেই চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।
অনবোর্ড বিল’ কী হারে বাড়বে চুড়ান্ত হয়নি; শিপিং এজেন্ট-অপারেটর দ্বন্দ্ব বাড়ছে
1 February, 2023
Views